কালীগঞ্জে অনাবৃষ্টিতে ভূ- গর্ভস্থ পানির স্তর তলানিতে

আপডেট: March 16, 2023 |
Boishakhinews24.net 293
print news

টিপু সুলতান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় কালীগঞ্জের অনেক এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। শুকিয়ে গেছে নদী, খাল-বিল, পুকুরসহ প্রাকৃতিক উৎস গুলোও। ফলে বোরো ধানে সেচ দেয়ার পানি সঙ্কটে বিপাকে পড়েছে কৃষক।

কালীগঞ্জের বোরোধান আবাদকারী কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস বৃষ্টি না হওয়ায় জেলায় শুকিয়ে গেছে খাল-বিল, পুকুর, নদী। পানি উঠছেনা কোন কোন নলকূপেও।

প্রতি বছরই কালীগঞ্জ উপজেলাতে নলকূপে বেশি পরিমাণ সমস্যার সৃষ্টি হয়। অকেজো হয়ে পড়েছে অসংখ্য নলকূপ। বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দেয়।

কৃষকরা বলছেন সঠিক ভাবে জমিতে সেচের ব্যাবস্থা না করতে পারলে বোরো ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশংকা থাকে। কালীগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত প্রায় সব নদনদীই এখন শুষ্ক। শুকিয়ে গেছে পানির অন্যসব প্রাকৃতিক উৎসও। শিগগিরই বৃষ্টি না হলে বোরোসহ বিভিন্ন সবজির উপর উৎপাদনে বিরুপ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নলকুপ গুলিতে পানি উঠছে না যে, কারনে শিক্ষার্থীরা পানির জন্য মারাতœক সমস্যায় পড়ছে। অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক মোটরে ও পানি উঠছে না।

মাটি খুঁড়ে ৭ থেকে ৮ ফুট গভীরে মোটর বসিয়ে পানি তোলা হচ্ছে। একই ভাবে বলেন, স্যালোমেশিং এ সেচ দেওয়া মহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এবং নদনদী, খাল-বিলে, প্রাকৃতিক জলাশয়ে পানি না থাকা এমন অবস্থা দেখা গেছে। বৃষ্টি হলে এই সমস্যার সমাধান হত।

জেলা কৃষি বিভাগ জানান, চলতি মৌসুমে ৮৯ হাজর ৮’শ ১৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২ হাজার ৩৮৬ হেক্টর কম। আর এই পরিমান ধানের আবাদ থেকে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর