স্বল্প সুদে বাংলাদেশকে ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাইকা

বন্দর, মহাসড়ক ও রেলপথ নির্মাণে তিন প্রকল্পের আওতায় ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৩ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান। এরইমধে বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। এ ঋণের সুদহারও কম।

বুধবার শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের মধ্যে ঋণচুক্তি সই হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব (ইআরডি) শরিফা খান। জাপানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি ও বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি তোমোহিদি ইচিগুচি। ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ঋণে সার্ভিস চার্জ মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।

জাইকার ঋণে যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে সেগুলো হলো- মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন-২, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে ইমপ্রুভমেন্ট-১ এবং জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প।

ইআরডি থেকে জানানো হয়, ৪৩তম লোন প্যাকেজের আওতায় জাপান এ ঋণ দিচ্ছে। এর সুদের হার ধরা হয়েছে ১ দশমিক ২০ শতাংশ। সেইসঙ্গে পরামর্শ ফি রয়েছে শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ এবং ফ্রন্ট এন্ড ফি শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। ১০ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ চুক্তির আওতায় ঋণের অর্থে মাতারবাড়িতে আরও একটি নতুন বাণিজ্যিক বন্দর নির্মাণ করবে জাইকা। এ প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারিং সেবার জন্য জাইকা প্রথমে দেবে ২ কোটি ডলার। পরবর্তী সময়ে দেবে ২৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এ প্রকল্পে আরও ঋণসহ মোট ঋণ হবে ৮১ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে উন্নয়ন প্রকল্পে জাইকা দেবে ৪২ কোটি ৯০লাখ ডলার। ২০২৮ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। জয়দেবপুর ঈশ্বরদী ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন প্রকল্পে জাইকা দেবে ৩ কোটি ২৫ লাখ ডলার। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।