সিংগাইরে তীব্র তাপদাহ আর লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন

আপডেট: April 19, 2023 |
print news

সোহরাব হোসেন, সিংগাইর প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গত এক সপ্তাহের তীব্র দাবদাহ ও ব্যাপক লোডশেডিংয়ের কারণে হাঁসফাঁস অবস্থায় জনজীবন।

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মানুষের ব্যস্ততার মাঝে দাবদাহ ও লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে ব্যাপকভাবে। আবহাওয়া অধিদফতের তথ্যমতে, ঢাকায় গত ১৫ এপ্রিল ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

যা গত ৫৮ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ । এ ছাড়া অন্যান্য দিন ও তাপমাত্রা গড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করছে । এই তীব্র দাবদাহের মধ্যেই বারবার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে এলাকাবাসী। উপজেলার সর্বত্রই ৮-১০ বার লোডশেডিং হচ্ছে।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ছে । ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেচাকেনা কমে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দাবদাহের মধ্যে লোডশেডিং দেয়ায় বাসা-বাড়িসহ সর্বত্র অবস্থান নেয়া মানুষ হাঁপিয়ে ওঠছে।

এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলার ধল্লা শিশু কাননের অধ্যক্ষ মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এই অবস্থায় তীব্র গরমে ছাত্র ছাত্রী নিয়ে বেকায়দায় আছি।’

উপজেলার হাতনী গ্রামের এক মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আশরাফুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তীব্র গরমের মধ্যে দিন ও রাতে বারবার লোডশেডিং হচ্ছে। বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের আহবান জানান তিনি।

পৌর বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম। গরমের মধ্যে ঘন ঘন এবং টানা লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।

ইফতারের পর যখন কেনাকাটার চাপ পড়ার কথা তখনই বিদ্যুৎ থাকে না। সিংগাইর বাসস্ট্যান্ডে গাড়ীর লাইনম্যান মো. সুরুজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, সবচেয়ে ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে এলাকায়। পার্শ্ববর্তী উপজেলা দোহার-নবাবগঞ্জে ও এ রকম লোডশেডিং নেই ।

এদিকে, মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দাবি করেছেন, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৩২০ কেভি সঞ্চালন লাইনের বয়লারের পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে এ বিদ্যুৎ বিপর্যয়। মেরামতের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

এ ব্যাপারে সিংগাইর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, সিংগাইর উপজেলায় বিদ্যুতের মোট চাহিদা ৩৭ মেগাওয়াট ।

সেখানে সাভার ও মানিকগঞ্জ থেকে সরবরাহ হচ্ছে ১৮ মেগাওয়াট। যে কারণে লোডশেডিং দেওয়া লাগছে। এ এলাকায় দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থাকলেও এখানকার বাসিন্দারা তার সুফল পাচ্ছেন না। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর