ঈদের চতুর্থ দিনেও ঢাকা ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ


ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে সোমবার খুলেছে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন অফিস, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
কর্মস্থলে যোগ দিতে রোববারই রাজধানী ঢাকায় ফিরেছেন অনেকে। তবে এখনও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে। টিকিট না পেয়ে বা নানা কাজে বা ঈদযাত্রার ভোগান্তি এড়াতে যারা ঈদের আগে গ্রামের বাড়ি যেতে পারেননি, তারা এখন যাচ্ছেন। কেউ পরিবার নিয়ে, কেউ একা যাচ্ছেন।
ঈদের চতুর্থ দিন মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ঘরমুখো এসব মানুষের ভিড় দেখা যায়।
স্টেশনে কথা হয় মো. জাহিদ নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কিছু কাজ ছিল। তাই একটু ব্যস্ত ছিলাম। এখন বাড়ি যাচ্ছি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে।’
পলি নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘ঈদের আগে মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়া অনেক ঝামেলার।
আবার টিকিট সহজে পাওয়াও যায় না। তাই এখন বাড়ি যাচ্ছি যেন কোনো ভোগান্তিতে পড়তে না হয়। ঈদের পর এখন এত চাপও নেই।’
বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে গাড়ীচালক হিসেবে কর্মরত সুমন মিয়া বলেন, ঈদের মধ্যে অফিসের ডিউটি করেছি। বেতন-বোনাসের বাইরেও কিছু বকশিস পেয়েছি; যেটার পুরোটাই পরিবারকে পাঠিয়েছি। গতকাল ডিউটি শেষে ছুটি পেয়েছি। আজ বাড়ি যাচ্ছি।
জামালপুরগামী যাত্রী সুন্দরী বেগম বলেন, ‘জামালপুরে আত্মীয়স্বজন থাকেন। তাদের সঙ্গে দেখা করা ও বাড়িঘর দেখে আসতেই এলাকায় যাচ্ছি।
ঈদের আগে যাওয়া অনেক ঝামেলা। ভিড় হয় অনেক। গাড়িও পাওয়া যায় না।’
এদিকে অন্য ধর্মাবলম্বীর অনেকে ছুটি কাটাতে ঈদের পর যাচ্ছেন গ্রামের বাড়ি। সুমন রায় নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ঈদের আগে অনলাইনে টিকিট কাটতে গিয়ে ঝামেলায় পড়েছি। টিকিট পাইনি। ঈদে বাড়ি যাওয়া নিয়ে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
তাই পরে ভাবলাম এবার আর ঈদের সময় বাড়ি যাবো না। এখন দিনাজপুরে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি পরিবারের সঙ্গে ছুটিটা কাটাতে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, ‘এবার ঈদযাত্রা কিছুটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে।
সামনে ট্রেনযাত্রা কিভাবে আরও সহজ করা যায় আমরা সে চেষ্টা করে যাবো। আজও ৫৪ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। যাত্রীরা নিরাপদে ঢাকায় ফিরছেন। আবার অনেকে ঢাকা থেকেও গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন।