প্রশংসায় ভাসছেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায়

আপডেট: May 7, 2023 |

ইমাম হাছাইন পিন্টু নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নাম করে ৭ অসহায় নারীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠে গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ৭ নারী হলেন নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের রেজাউল করিমের স্ত্রী আসমা বেগম, ছাইফুল হোসেনের স্ত্রী ইঞ্জিরা বেগম, মৃত-হাসমত আলীর স্ত্রী রাবিয়া বেগম, মৃত-আবেদ আলীর স্ত্রী রিজিয়া বেগম, মৃত-তারামিয়ার স্ত্রী হাবিয়া বেগম, আব্দুল হামিদের স্ত্রী সাহারা বানু ও ইয়াছিন আলীর মেয়ে বিউটি খাতুন।

গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অভিযোগকারী আসমা বেগম, ইঞ্জিরা বেগম, রাবিয়া বেগম, রিজিয়া বেগম, হাবিয়া বেগম, সাহারা বেগম ও মমতাজ বেগমকে ইউএনও তার বাসভবনে ডেকে নেন এবং অভিযোগকারী ৭জনের মধ্যে ৪ জনকে ৫০ হাজার করে এবং একজনকে ৪০ হাজার টাকা ফেরত পাইয়ে দেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায়। এবং তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়নের ঘর পেতে কোন টাকা লাগেনা এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।

ভুক্তভোগী নারীরা অভিযোগ করে বলেন, গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছে থেকে ৫০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন।

কিন্তু তাদের ঘর দেয়া হয়নি। এই ঘুষের টাকা ফেরত পেতে গত বুধবার সাহারা খাতুন ও মমতাজ বেগম বাদী হয়ে নাটোর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। এনিয়ে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।

বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও জেলা প্রশাসকের নজরে আসে। এরই প্রেক্ষিতে বৃহষ্পতিবার অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নূর মোহম্মদ মাসুম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগকারীদের শুনানী গ্রহন করেন। এসময় অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন না।

শুনানীতে ইউএনও শ্রাবনী রায় ছাড়াও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাকিল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ভুক্তভোগীদের শুনানী গ্রহনের একদিন পরই শুক্রবার ইউএনও শ্রাবনী রায় ঘুষের টাকা ফেরত পাইয়ে দেন অভিযোগকারী নারীদের।

ভুক্তভোগী নারীরা জানান করেই কয়েকদিন আগে জানতে পারলাম আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নিতে কোন টাকা লাগেনা। তাই ঋণ করে দেওয়া টাকাটা নজরুলের কাছে ফেরৎ চাই। কিন্তু সে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি।

ভুক্তভোগী নারীরা আরো জানান, বৃহষ্পতিবার শুনানীর গ্রহনের পর বৃহষ্পতিবার রাতে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম তাঁদের বাড়িবাড়ি গিয়ে নিজের ভূল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে আসেন এবং তাদের টাকা ইউএনওর মাধ্যমে ফেরত পাবেন বলেও জানিয়েছিলেন।তার কথা ও ইউএনওর ফোনে আশ্বস্ত হয়ে শুক্রবার ইউএনওর বাস ভবনে এসে কথামত ঘুষের টাকা ফেরত পেয়েছেন তারা।

এমন ঘটনায় গুরুদাসপুর উপজেলার সচেতন মানুষের মুখে মুখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায়ের প্রশংসা করতে দেখা ও শোনা যায়।

ইতিমধ্যেই ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পাওয়ায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম থেকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর