জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মোংলায় যুবলীগ নেত্রীকে কুপিয়ে জখম

আপডেট: May 8, 2023 |

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মোংলা পৌর যুবলীগ নেত্রীকে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় উদ্ধার করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছে আরো ৩ জন।

যুবলীগ নেত্রী শামিমা ইয়াসমিন খুলনা মেডিকেলে ভর্তি আর বাকীরা মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরও মামলা না নেওয়ার অভিযোগ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

আহত শামিমা ইয়াসমিন মোংলা পৌর যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা।

রবিবার (৭ মে) দুপুরে যুবলীগ নেত্রী সামিমা ইয়াসমিন এর স্বামী আবদুল গফুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান।

শনিবার(০৬ মে) দুপুর দেড়টার দিকে একাধীক মামলার আসামী উপজেলার বাশতলা এলাকার বাসিন্ধা মুকুল শিকারী ও শাহনাজের নেতৃত্বে ১৩/১৪ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ঘরে ডুকে আমার স্ত্রী শামিমা ইয়াসমিন জুই কে দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এসময় ঘরে থাকা আত্বীয় নিলুফার ও গৃহকর্মী উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।

তিনি জানান, মুঠোফোনে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি অবগত হওয়ার পর তিনি( আবদুল গফুর) থানা পুলিশ কে সাথে নিয়ে স্ত্রী শামিমা ইয়ামিনসহ আহত সকল কে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

গুরুতর আহত হওয়ায় মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে পাঠান মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রধান, ডাক্তার মো: শাহীন জানান, শামিমা ইয়াসমিনের মাথায় অতিরিক্ত আঘাত পাওয়ার কারনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

আবদুল গফুর অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় আমার স্ত্রীসহ আহত সকল কে থানা পুলিশসহ উদ্ধার করে। কিন্তু ওই ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর ও লিখিত অভিযোগটি এজাহার ভুক্ত করেনি থানা পুলিশ।

আটক করা হয়নি কোন আসামীকে। তিনি জানান, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তিনি শাহনাজ বেগম, কামরুজামান মুকুল শেখ, বেল্লাল হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৮ জনকে আসামী করে মোংলা থানায় লিখিত এজাহার জমা দিয়েছেন।

তবে রবিবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ লিখিত অভিযোগটি এজাহার ভুক্ত করেনি। তিনি আরো বলেন, হামলাকারী শাহানাজ এর সাথে তাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিলো। দীর্ঘ দিন সে তাদের মালিকানা বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে।

এবিষয়ে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুদ্দিন জানান,যুবলীগ নেত্রী কে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে এজাহার ভুক্ত করা হবে।

তবে অভিযুক্ত শাহানাজ বেগম দাবী করেন, তারা ওই হামলার ঘটনার সাথে জড়িত নয়।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর