জবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে স্বপ্নভঙ্গ মেহেরুন নেসার

আপডেট: May 20, 2023 |

মোঃ আরিফ হোসাইন, জবি প্রতিনিধি: আজ থেকে শুরু হওয়া গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে ২০ মিনিট পরে পৌঁছানোর কারণে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি মেহেরুন নেসা খাদিজা নামে এক শিক্ষার্থীকে।

২০ মিনিট দেরিতে আসার কারণে তার কক্ষের পরীক্ষক উক্ত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

পরবর্তীতে তাকে বিভিন্ন ভবন ও দপ্তরে অনুমতির জন্য পাঠিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দিন বলেন, ‘১৫ মিনিটের বেশি দেরি করে আসলে পরীক্ষা হলে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি নিয়ম নেই।

কিন্তু ঢাকা শহরের তীব্র যানজটের কথা মাথায় রেখে মানবিক বিবেচনায় ইতিমধ্যে যাদের খবর আমরা জানতে পেরেছি সবাইকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

কিন্তু এই মেয়েটির ব্যাপারে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি, যদি আমরা আগে জানতে পারতাম তবে অবশ্যই তাকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতাম। কিন্তু এখন মাত্র ১০ মিনিট বাকি থাকায় তার সম্ভব হচ্ছে না।’

পরবর্তীতে উক্ত শিক্ষার্থীকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকের নিকট নিয়ে গেলে তিনি শিক্ষার্থীকে হয়রানির জন্যে দুঃখ প্রকাশ করেন, এবং অভিযোগ করলে হয়রানির সাথে যুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

তবে সময় না থাকায় তিনি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করেন।

মেহেরুন নেসা নামের ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি সাভার থেকে অনেক সকালে রওনা দিয়েছিলাম, কিন্তু গুলিস্থানে তীব্র জ্যামের কারণে আমার পৌঁছাতে প্রায় ১২:২০ বেজে গিয়েছিল।

আমি পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর দায়িত্বরত পরীক্ষা পরিদর্শকরা আমার পরীক্ষা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

তখন কিছু শিক্ষক এসে বলেন, তোমার পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, কারণ এটা আমাদের নিয়মের ভিতরে নেই। এই কথা বলে তারা আমাকে সেখান থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসেন।

পরবর্তীতে তারা আমাকে সেখানকার এক চেয়ারম্যান ম্যাম এর কাছে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতির জন্যে পাঠায়, তিনি অনুমতি দিলে তারা আমাকে খাতা দেয়, কিন্তু তারা বলে তোমার পরীক্ষার রুম তো এইটা না, তাই তোমার পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।

পরবর্তীতে একবার এই ভবন, আবার অন্য ভবনে ঘুরাতে থাকে, পরীক্ষার সময় প্রায় শেষ পর্যায়ে যখন ১২:৪০ বাজে তারা আমাকে বলে, আমার পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। পরবর্তীতে তারা আমার আর পরীক্ষা নেয়নি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর