ফরিদপুরে ছাত্রকে গলাটিপে হত্যা করলো শিক্ষক

আপডেট: May 29, 2023 |

তারেকুজ্জামান,ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের মধুখালী পৌরসভার পূর্ব-গাড়াখোলা মোহাম্মদিয়া আছিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ইমান আলী মোল্যা (৭) নামে এক শিক্ষার্থীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহ(২২) এর বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে ওই শিক্ষক গলাটিপে হত্যা করে পালানোর সময় উপজেলার মাঝকান্দি থেকে মধুখালী থানা পুলিশ তাকে আটক করে।

নিহত শিক্ষার্থী মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের সমসকান্দি গ্রামের হৃদয় মোল্যার ছেলে।

শিশু ইমান আলী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামে নানা ফেলু ও নানীর সাথে থাকতো। ঘাতক হেদায়েতুল্লাহ নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার পীরের চর গ্রামের মহসিন মিয়ার ছেলে।

ঘাতক শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহ দুই সপ্তাহ আগে ওই মাদ্রাসায় অস্থায়ী ভিত্তিতে যোগদান করেছেন।

জানা যায়, রাতে শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহ এক ছাত্রের সাথে অশ্লীল আচরণ করার সময় নিহত ছাত্র দেখে ফেললে তাকে এসব কথা কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন শিক্ষক।

কিন্ত ঘাতক শিক্ষক ভয়ে অন্য ছাত্ররা ঘুম থেকে উঠার আগেই সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার কোনো এক সময় ছাত্র ইমান আলীকে গলাটিপে হত্যা করে মাদ্রাসা থেকে হোসাইন (১২) নামক অন্য এক ছাত্রকে সাথে নিয়ে পালিয়ে যায়।

ইতেমধ্যে অন্য ছাত্ররা ঘুম থেকে উঠে মৃত ছাত্রকে দেখে অন্য শিক্ষকদের জানালে তারা থানায় ফোন করে খবর দিলে মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ফোর্সসহ উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দি বাসস্টান্ড হতে ঘাতক শিক্ষককে সঙ্গীয় ছাত্রসহ আটক করতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা সামসুল হক জানান, মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই ঘাতক শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং তাকে সাবধান করে বলা হয়েছে ছাত্রদের সাথে কোনরূপ খারাপ আচরণ না করার জন্য।

মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ওই শিক্ষককে উপজেলার মাঝকান্দি থেকে আটক করা হয়েছে।

লাশের ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর