জামাত শিবিরের নতুন আস্তানা বরাইগ্রামের নগর ইউনিয়ন

আপডেট: June 3, 2023 |
boroi
print news

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামাত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং এর আড়ালে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন নাটোরের বরাইগ্রাম নগর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী আমিরের ছেলে খাব্বাব বিন সোলাইমান।

যার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদদাতা ইউনিয়ন জামাতে ইসলামীর আমির মোঃ সোলায়মান হুসাইন।

যেভাবেই হোক আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন না করতে পারে সেজন্য সব ধরনের অপচেষ্টা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।

aaa 2

সোলেইমান হোসেন, মো: সাব্বির হোসেন, মো: মুনজুর রহমান ও মো মানিক হোসেন।

জানা গেছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে স্থানীয় জামায়াত শিবির কর্মীদের মধ্যে টাকা বিতরণ করেন এবং বিভিন্ন জেলায় জেলায় গোপন গোপন বৈঠক করেন।

এর আগে, গত মাসে ময়মনসিংহ জেলায় গোপন বৈঠক রত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এমনভাবে সারা বাংলাদেশে তারা গোপন বৈঠকে যোগ দেয়। জামায়াত-শিবিরের লক্ষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে এবং জামাত-শিবিরকে ঐক্যবদ্ধ করে যাচ্ছেন তারা।

গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করার লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করে গেছেন ইউনিয়ন জামাতে ইসলামীর আমির সুলাইমান হুসাইনের নেতৃত্বে খাব্বাব বিন সোলাইমান,মো: মানিক হোসেন, মো: সাব্বির হোসেন,মোঃ মুনজুর রহমানস মন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন এবং তারা সফল হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী কে বিপুল ভোটে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী কে জয়লাভ করায়।এমনকি তারা ভোট কেন্দ্র দখলের মতো দুঃসাহস দেখিয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কথা বলে জানা যায় খাব্বাব বিন সুলাইমান এর পরিবার পারিবারিকভাবে জামাত-শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় আওয়ামী পরিবারের একজন কথা বলেন, খাব্বাব বিন সুলাইমানের পরিবার ঐতিহ্যগত ভাবে জামাত-শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত। এলাকায় যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে বলে দিবে তারা জামায়াত শিবিরের রাজনীতি করে। এদের ভয়ে স্থানীয় আওয়ামী পরিবার সাধারণ জনগণ আতংকে দিন কাটায়। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাদের ধাওয়া- উত্তম-মধ্যম দেওয়া হয়।

সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছোট বেলা থেকে খাব্বাব বিন সোলাইমান উৎশৃংখল জীবন-যাপনে করে আসছে। জুয়া খেলা থেকে শুরু করে নারী, মদ, ইয়াবা, গাজা সেবন ও ব্যবসায় জড়িত ছিল।

আরও জানা গেছে, এলাকায় আপত্তিকর অবস্থায় এক নারীর সাথে পাওয়া গেলে সাধারণ জনগণ তাকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। তারপরেই লেবাস পালটিয়ে জামাত-শিবিরের কর্মী বনে যান খাব্বাব বিন সোলায়মান ২০২১ সালে রাজশাহী বিভাগের সেরা সাংগঠনিক কর্মী হিসেবে পুরস্কার লাভ করে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর