নির্বাচনে না এসে বিএনপি ভুল করেছে: লিটন

আপডেট: June 21, 2023 |

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ না নেয়া বিএনপির ভুল হয়েছে।

বুধবার (২১ জুন) সকাল ৯টার সময় নগরীর উপশহর স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দেয়া শেষে তিনি এ কথা বলেন।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ না নেয়া বিএনপির অবশ্যই ভুল হয়েছে। তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে হতো। সে ক্ষেত্রে তারা তাদের অবস্থান বুঝতে পারতো। আমরাও বুঝতে পারতাম।

এ নির্বাচনটি প্রকৃত অর্থে ভালো হতো। তারা না এলে কিছু করার নেই। এরপরও বিএনপি ও জামাতের কাউন্সিলর প্রার্থী আছে। তারা ভোটারদের কেন্দ্রে আনবেন।

তিনি আরও বলেন, জামাত ও বিএনপির ভোটার আছেন। তাদের ভোটগুলো কোন খাতে যাবে সেটা জানি না। তবে উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে হলেও তাদের নৌকায় ভোট দেয়া উচিত। ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতিও ভালো হবে। আশা করছি ৬০ শতাংশেরও ওপরে ভোট পড়বে।

প্রসঙ্গত, চার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম নির্বাচন বর্জন করেছেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম বিষয়ক মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রফিকুল আলম জানান, সিটির ১৫৫ কেন্দ্রে তিন স্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৪ হাজার সদস্য কাজ করবে। এর মধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রে থাকবে সাড়ে তিন হাজারের বেশি পুলিশ।

রাজশাহী র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানিয়েছেন, কেন্দ্রের বাহিরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে ২৫০ জন র‌্যাব সদস্য মাঠে থাকবে। এছাড়া ভোটের মাঠে থাকবে ৭ প্লাটুন বিজিবি।

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৫। এরমধ্যে ১৪৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন।

এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। নির্বাচনে ২৯ ওয়ার্ডে ১১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১০ সংরক্ষিত নারী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৬ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী।

রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১৫৫টি কেন্দ্রের এক হাজার ১৫৩টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রতিটি বুথেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রের বাইরেও সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।

মোট এক হাজার ৫৬০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা থেকে ইসি ভোট পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করবে।

কোথাও কোনো প্রকার অনিয়ম বা অব্যবস্থাপনা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোনো কেন্দ্রে কেউ গোলযোগ সৃষ্টি বা সহিংসতার চেষ্টা করলে তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর