অন্তঃসত্ত্বা স্কুল ছাত্রীর কন্যা সন্তানের নাম আলো : শ্রাবণী রায়


ইমাম হাছাইন পিন্টু, নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে ধর্ষণের শিকার হয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন ১০মাস আগে।
প্রতিবেশী দুসম্পর্কের অভিযুক্ত নানা জাহিদুল খাঁ (৫০) ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগাড়ে রয়েছে সপ্তাহ খনেক হলো।
এরই মধ্যে গত শনিবার ২ সেপ্টেম্বর গুরুদাসপুর স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারের মাধ্যমে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই স্কুলছাত্রীর কোল জুড়ে জন্ম নিয়েছে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান ।
বাঁচ্চাটিকে এক নজর দেখতে উৎসুক জনতার ভির জমেছে হাসপাতালে।
আজ (৩ সেপ্টেম্বর) রবিবার গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নবজাতক কন্যা শিশুটিকে দেখতে এবং তার মায়ের খোঁজখবর নিতে যান গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায়। এ সময় নবজাতক কন্যা শিশুটির নাম রাখেন আলো।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব আশরাফুল মাখলুকাত মানুষ তার মা বৃষ্টির কোলজুড়ে এই নবজাতক শিশুটি দুনিয়ার বুকে এসেছেন আমি আশা করি তার মা এবং তার পরিবারকে নিয়ে কেউ যেন হেও প্রতিপন্ন না করেন এবং তার পরিবারকে সমালোচনার মুখে না ফেলে শিশুকন্যাটি সমাজে অন্যদের মতন স্বাচ্ছন্দে বেড়ে উঠতে পারে এইজন্য সবাইকে সহযোগিতা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
উল্লেখ্য, সংসারে পারিবারিক কলহের কারণে শিশুটির বাবা-মার সংসার ভেঙে যায়। পরবর্তীতে বাবা ও মা অন্যত্র বিয়ে করে।
এরপর থেকে শিশুটি তার নানীর কাছে থাকতো। এলাকার এক দুসম্পর্কের নানা জাহিদুল খাঁ মাঝে মধ্য শিশুটিকে নিয়ে তার ভ্যানে করে স্কুলে আনা নেওয়া করতো।
পরে ৫ মাস পর শিশুটির শারীরিক পরিবর্তন দেখে পরিবারের মানুষ জিজ্ঞেস করলে কোনো উত্তর দেয়নি শিশুটি।
তবে পরীক্ষা করার পর গর্ভে সন্তান থাকার কথা জানতে পারে পরিবার। পরবর্তীতে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার মাধ্যমে চিকিৎসক অন্তঃসত্ত¦ার বিষয়টি জানাযায়।
পরে শিশুটি এ ঘটনা তার পরিবারকে খুলে বলে। পরে গত ১৮ জুন শিশুটির দাদী হালিমা খাতুন বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ সময় পরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৫) গত (২৬ আগস্ট) সকালে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার হেলেঞ্চা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার হওয়া জাহিদুল খাঁ গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাড়িবাড়ি গ্রামের মৃত্য কালু খাঁর ছেলে।
ওই শিশুটি জানায়, অনেক আগে থেকেই তাকে আদর করতেন নানা জাহিদুল ইসলাম। বিভিন্ন সময়ে খাবার জিনিস কিনে দিতেন।
প্রায়ই তার ভ্যানযোগে তাকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতেন। ঘটনার দিন স্কুলে যাওয়ার জন্য গোসল করে বাড়ির ভেতর কাপড় পরিবর্তন করছিল শিশুটি।
বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ধর্ষক জাহিদুল ইসলাম বাড়ির ভেতর ঢুকে ঘরে গিয়ে কাপড় পরিবর্তন করতে বলে। ঘরে ঢুকতেই পেছন থেকে তাকে জাপটে ধরে মুখে গামছা পেঁচিয়ে ধর্ষণ করেন।
বিষয়টি কাউকে জানালে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি। ফলে ওই ঘটনা কাউকে বলতে সাহস পায়নি শিশুটি।