রাজশাহীতে নীরবে বাড়ছে মরণব্যাধি এইচআইভির


ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীতে নীরবে বাড়ছে মরণব্যাধি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। শুধু রাজশাহীই নয়, প্রাণঘাতী এইচআইভি বা এইডস ভাইরাস আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে উত্তরের অনেক জেলাগুলোতেও।
বর্তমাস এইচআইভি পজেটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ।
এইডস নিয়ে কাজ করা একাধিক বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) তথ্যমতে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র রাজশাহীতে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পাঁচগুণ!
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি অনেকেই টের পাচ্ছেন না। জানার আগেই তা ছড়িয়ে পড়ছে আরেকজনের শরীরে।
কেউ জেনেও গোপন রাখছেন সামাজিক নিগ্রহের ভয়ে। আবার এই ভাইরাসের চিকিৎসাসেবা চালু হলেও তা এখনো অনেকেরই অজানা।
এতেই মূলত উদ্বেগ বাড়ছে! বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাণঘাতী এইচআইভি নিরাময়ে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে আরও বেশি পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
এদিকে রাজশাহীতে এইডস শনাক্তকরণের ব্যবস্থা থাকলেও এর চিকিৎসাসেবা এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। এর জন্য রোগীদের পাশের জেলা বগুড়ামুখী হতে হয়।
তবে সম্প্রতি সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, অচিরেই রাজশাহীতেও এইডসসের চিকিৎসা চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
একাধিক বেসরকারি সংস্থার গণমাধ্যমে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী জেলাসহ উত্তরাঞ্চলে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এইচআইভিতে আক্রান্তের সংখ্যা।
পরিসংখ্যান মতে, রাজশাহীতে ২০১৯ সালে ঘাতক এই ভাইরাস ধরা পরে চার জনের শরীরে। তার দু’বছর পর; অর্থাৎ ২০২১ সালে শনাক্ত হন ০৭জন।
পরের বছর ২০২২ সালে নতুন করে আরও ১২ জন আক্রান্ত হন এইচআইভিতে।
সম্প্রতি বেসরকারি মানবাধিকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ঢাকা আহছানিয়া মিশন জানিয়েছে, রাজশাহীতে বর্তমানে এইচআইভি পজেটিভ রোগীর সংখ্যা ১৯ জন।
২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজশাহীতে এইচআইভি পজেটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ! সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের এইচটিসি বিভাগের সূত্র বলছে, এইচআইভি পজেটিভের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যা সমকামীদের।
এছাড়াও এ তালিকায় আছে উভকামী বা বহুগামী পুরুষেরাও। এরপরই আছে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী।
শেষের ধাপে আছে রক্ত, মায়ের বুকের দুধ, স্বামী-স্ত্রীর মেলামেশা এবং ইঞ্জেকটিভ ড্রাগের মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তিরা।