জিয়ার শাসনামলে ফাঁসি কার্যকর ব্যক্তিদের লাশের সন্ধানে রিট

জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গঠিত সামরিক আদালতের আদেশে ফাঁসি কার্যকর হওয়া ব্যক্তিদের লাশের সন্ধান চেয়ে রিট করেছে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবার। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ৬০০ জনকে ফাঁসি কিংবা ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয় বলে রিটে উল্লেখ করা হয়।

জিয়াউর রহমানের শাসনামল অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের দেড় দশক পর এবার সেই সময়ের কিছু কর্মকাণ্ড চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। সেসময়ে সামরিক আদালতে ফাঁসির রায় হলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফেরা এক বিমান সদস্যসহ বেশ কয়েকজন এ রিটটি করেন।

সামরিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত একজন বলেন, তারা কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখ খুলে দিয়ে নাম মিলিয়ে আবার চোখ বন্ধ করে দিত। আমার প্রথমে ফাঁসির আদেশ হলেও পরে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের একজন বললেন, বাবার মরদেহ কোথায় দাফন করা হয়েছে এত বছর পরও তার পরিবার তা জানতে পারেনি।

আরেক ভুক্তভোগীর ছেলে বলেন, আমার বাবার লাশ এখনও পাইনি।

বিভিন্ন গবেষণা ও পত্রপত্রিকার খবর অনুযায়ী, সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের আমলে ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত সশস্ত্রবাহিনীতে ৩০টির বেশি ক্যু হয়। কর্নেল তাহেরসহ অনেকেরই ফাঁসি কার্যকর হয়।জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সেনা সদস্যদের বিচারের বৈধতা এবং ফাঁসি দিয়ে লাশ গুম করাকে চ্যালেঞ্জ করে রোববার (২৮ এপ্রিল) রিট করা হয়। সেই সঙ্গে ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়েছে।

রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, অবৈধভাবে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মামলা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাদের ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়েছে।

রিটে বলা হয়, ১৯৭৮ সালের ৫ মার্চ লন্ডন টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময়ে সামরিক বাহিনীর ৮ শতাধিক সদস্যের সাজা হয় এবং ৬০০ জনকে ফাঁসি কিংবা ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয়।