ড. ওয়াজেদ মিয়ার ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেট: May 9, 2019 |

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

২০০৯ সালের ৯ মে তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি তার মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে জনগণের কল্যাণে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন।

ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক বাণীতে বলেন, বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার আদর্শ নতুন প্রজন্মের পাথেয় হয়ে থাকবে।

বিশিষ্ট এই পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালনে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বিশিষ্ট কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিশিষ্ট এই বিজ্ঞানীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি, ফাতেহা পাঠ ও জিয়ারত, স্মৃতিচারণ ও মিলাদ মাহফিল।

সকালে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে লালদীঘির ফতেহপুরে জয়সদনে প্রয়াত বিজ্ঞানীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলিসহ দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হবে। এছাড়া ফতেহপুরের জয়সদন প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

বিকালে উপজেলা সদরে দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন এবং ১৪ দলের উদ্যোগে বিজ্ঞানীর স্মৃতিচারণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিকাল ৫টায় রাজা রামমোহন ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া ড. এম ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

উপমহাদেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার জন্ম ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জের লালদীঘি ফতেপুর গ্রামে। তিনি ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি জার্মানিতে ছিলেন। এরপর একটানা প্রায় সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরেন। কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা হোসেন পুতুল তার দুই সন্তান।

মুক্তিযুদ্ধের আগে ছাত্রলীগ নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি হিসেবে আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন প্রয়াত এ পরমাণু বিজ্ঞানী। এ কারণে ১৯৬২ সালে গ্রেফতারও হন। এরপর আমৃত্যু রাজনীতির বাইরেই ছিলেন।

ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান। এছাড়া আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘ, পদার্থবিজ্ঞান সমিতি, বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতি, রংপুর জেলা সমিতি, বঙ্গবন্ধু আদর্শ মূল্যায়ন ও গবেষণা সংসদ, জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠাসহ এসব সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

বিজ্ঞানে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু সোসাইটি তাকে ‘স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু স্বর্ণপদকে’ ভূষিত করে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর