ফলে কেমিক্যাল, বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনে হাইকোর্টের অসন্তোষ

সময়: 2:51 pm - June 18, 2019 | | পঠিত হয়েছে: 6 বার

ফরমালিন পরীক্ষার বিষয়ে বিএসটিআইয়ের দেয়া প্রতিবেদনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। এরপর দেশীয় মৌসুমী ফল আমে ফরমালিনের ব্যবহার বন্ধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং কীভাবে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে এ বিষয়ে পুলিশ ও র্যাবকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ২০ মে গাছ থেকে সংগ্রহের পর ঢাকাসহ সারা দেশে ফলের আড়তে বা বাজারে কেমিক্যাল মেশানো আম আসছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আদেশে আদালত সারাদেশে ফলের বাজারে ফরমালিনসহ সব ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো ঠেকাতে র্যাবের ডিজি, আইজিপি ও বিএসটিআইকে ৭ দিনের মধ্যে কমিটি গঠন করে তদারকি করতে বলেছিলেন।

সেই মামলার শুনানিতে আজ (মঙ্গলবার) বিচারপতি এফ এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

আদালতে রিটকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অপরদেক রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল বাশার।

আদালতের নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আম ও ফলে কেমিক্যাল রোধে সারা দেশের ফলের বাজার ও আড়তে নজরদারি করতে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব ফলের আড়ত ও বাজারে থাকা আম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।

তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় আজ মামলাটির শুনানি হয়। শুনানিতে আদালত র্যাব ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের প্রতি এই নির্দেশনা দেন।

গত ২০ মে হাইকোর্ট পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের ডিজি, বিএসটিআইর এমডি এবং কেমিক্যাল টেস্টিং উইংয়ের পরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়নের আদেশ দেন।

মনজিল মোরসেদ জানান, গত ৯ এপ্রিল আদালত দুটি আদেশ দিয়েছিলেন। এর একটি হচ্ছে রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছিলেন আমবাগানগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ নিয়োগ দিতে, যাতে আম পাকানোর জন্য কেমিক্যাল ব্যবহার করতে না পারে। আরেকটা নির্দেশে চার জন বিবাদীকে ঢাকাসহ সারা দেশের ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে তদারকি টিম গঠন করতে বলেন। যাতে কেমিক্যাল ব্যবহার করে ফল রক্ষণাবেক্ষণ বা ফল পাকানো না হয়।

এ বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু তারা নির্দিষ্ট সময়ে কোনো প্রতিবেদন না দেয়ায় গত (২০মে) আদালতের দৃষ্টিতে আনা হয় যে, এটি না করা হলে রাজশাহীর বাগানে কেমিক্যাল ব্যবহার না করলেও ঢাকা বা অন্যত্র ফলের বাজার/আড়তে এনে আমে কেমিক্যাল ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যাবে না।

তিনি আরও জানান, গত (২০মে) থেকে ৭ দিনের মধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে ফলের বাজার ও আড়তে তদারকি টিম গঠন করে মনিটরিং করতে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে কেউ আম বা ফল পাকাতে বা সংরক্ষণ করতে কেমিক্যাল ব্যবহার করতে না পারেন। আর যদি কেউ করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আদালতে আজ (১৮ জুন) এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর