সিংগাইরে এসএসসি ভোকেশনাল শাখার ব্যবহারিক পরীক্ষায় অর্থ আদায়ের অভিযোগ

আপডেট: March 19, 2024 |

সোহরাব হোসেন, সিংগাইর প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি ভোকেশনাল শাখার ব্যবহারিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে।

এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সোমবার ও মঙ্গলবার (১৮ ও ১৯ মার্চ) জয়মন্টপ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের এসএসসি’র ভোকেশনাল শাখায় ৬৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ।

তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার দেয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে ওই শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ইকবাল হোসেন প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের হিসেব অনুযায়ী যার পরিমান অর্ধ লক্ষ টাকার উপরে। তবে শিক্ষক ইকবাল হোসেন এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খাতা তৈরীর জন্য কিছু শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বিষয় প্রতি দু’একশ করে টাকা নেয়া হয়েছে।

এতে তার কাছে ২১ হাজার টাকা জমা আছে বলেও তিনি স্বীকার করেন।

এদিকে, পরীক্ষার আগে কোচিংয়ের নামে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২-৩ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৩ মাস শিক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাস নেয়ার কথা থাকলেও ক্লাস হয়েছে মাত্র ১৫-২০ দিন।

পরীক্ষার সময় প্রবেশপত্র আটকিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে কোচিং ফির সমুদয় অর্থ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ব্যবহারিক পরীক্ষায় বাধ্য হয়ে আমরা একেকজন শিক্ষার্থী ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত দিয়েছি।

তারা আরো জানান, স্যারেরা কোচিং-এ ক্লাস না নিলেও আমাদেরকে পুরো টাকা দিতে হয়েছে।

জয়মন্টপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাধেশ্যাম সাহা বলেন, এসএসসি ভোকেশনাল শাখার ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেয়া হয়ে থাকলে জঘন্য অন্যায় হয়েছে।

এ ছাড়া ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফি নির্ধারন করে পরীক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাস করানো হয়েছে । তবে উপস্থিতি কম ছিল।

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির কো-অপ্ট সদস্য ও জয়মন্টপ ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জি: শাহাদাৎ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অনিয়ম করলে কর্তৃপক্ষ অবশ্যই ব্যবস্থা নিবেন।

সিংগাইর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবিএম আঃ হান্নান বলেন, আপনার কাছ থেকে শুনলাম। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে দেখবো ।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক সত্যতা পেলে শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরতসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর