বৃষ্টি প্রার্থনায় ইবিতে ইসতিসকার নামাজ আদায়
ইবি প্রতিনিধি : দেশব্যাপী বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। এরই মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর বিভিন্ন ধাপে হিট এলার্ট জারি অব্যাহত রেখেছে।
চলমান এই তাপদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে বৃষ্টির কামনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ধর্মতত্ত্ব অনুষদের উদ্যোগে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ভ্যানচালক ও স্থানীয় এলাকাবাসীরা।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় কেন্দ্রীয় ফুটবল খেলার মাঠে এই বিশেষ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম খতিব মোঃ আশরাফ উদ্দিন খান নামাজ পরিচালনা করেন।
নামাজ শেষে ইসতিসকার নামাজের খুতবা ও মহান আল্লাহর কাছে গরম থেকে পরিত্রান পেতে দোয়া করা হয়।
নামাজে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে ক্যাম্পাসে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি এই তীব্র রোদে রাত্রেও চারপাশ গরম হয়ে থাকে।
এই নামায আদায়ের উছিলায় যেনো মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে বৃষ্টি বর্ষণ করে তা প্রার্থনা করছি।
নামাজে অংশ নেয়া এক কৃষক বলেন, আমাদের মাঠঘাট শুকিয়ে যাচ্ছে। নলকূপে পানি পাওয়া কষ্টকর হয়ে উঠেছে এই তাপে।
আমাদের এই তাপদাহে ক্ষেতে কাজ করা অনেক কষ্ট হয়। তাই যখন শুনলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃষ্টির জন্য নামায আদায় করবে তখন আমিও সবার সাথে নামাযে অংশ নিলাম। শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি আমরা।
কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম খতিব মোঃ আশরাফ উদ্দিন বলেন, এই নামাযের মূল উদ্দেশ্য তওবা ইস্তেগফার করা।
আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন নামাযের হুকুম করেছেন। তাই দেশ বা সমাজ যখন কোনো খরতাপে পড়ে যায় বা এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পতিত হয় তখন আমরা সালাতুল ইসতিসকার আদায় করি।
এ বিশেষ নামাজের আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী।
তিনি জানান, কয়েকদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে বিশেষ নামাজটা সম্পন্ন করতে পেরেছি।
এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তর, অনুষদ, ডিপার্টমেন্ট ও হলগুলোতেও সহযোগিতার আমন্ত্রণ পত্র পাঠিয়ে দিয়ে অবহিত করা হয়েছিল।
আমার যতটুকু মনে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রথম বারের মতো সবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিশেষ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে রাসুল (সঃ) এর একটা সুন্নাহ পালন করতে পেরেছি।
এর আগে, গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।
এরপর কয়েক ধাপে তা বাড়ানো হয়। এরপর গতকাল ২৮ এপ্রিল আবারও আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী ৭২ ঘন্টার জন্য নতুন করে হিট এলার্ট জারি করেন।