লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্যের কার্যালয়ে যৌথবাহিনীর অভিযান, মাদক ও যৌন সামগ্রী উদ্ধার

আপডেট: September 29, 2024 |
inbound6967136018327268524
print news

অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আওয়ামীলীগ নেতা রেদোওয়ান হোসেন রিপনের ব্যক্তিগত অফিসে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা, গাঁজা মাপার মেশিন, বিদেশি মদ, ব্যবহৃত ও অব্যবহিত প্রচুর কনডম পাওয়া গেছে। যৌথবাহিনী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অফিসে অভিযান পরিচালনা করেন।

কমলনগর থানার এস আই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে এ নিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একচেটিয়া ও ভোট কেটে মেম্বার হওয়ার দরুণ রেদোয়ান হোসেন রিপন ব্যক্তিগত অফিস দিয়ে অন্যায় অপরাধের আখড়াবখুলে বসে।

গাঁজা ইয়াবা বিক্রি, নারীদের বিভিন্ন প্রলোভনে ধর্ষণ, ধর্ষণে ব্যবহৃত কনডম উদ্ধার ও বিদেশী মদ সাক্ষ্য দেয় কতটা জঘন্য দুশ্চরিত্রের লোক ছিল রেদোয়ার হোসেন রিপন।

অভিযোগ রয়েছে নদী ভাঙা নারীদের ভিজিএফের চাল দেয়ার কথা বলে মা মেয়ে দুইজনকেই ধর্ষণ করেছে নারী লোভী চরিত্রহীন রিপন মেম্বার।

দীর্ঘদিন ধরে বিগত সরকারের দুঃশাসনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একচ্ছত্র আধিপত্যতা বিস্তার করে ধরাকে সরা জ্ঞান করে আসছিল।

খুন, গুম,ধর্ষণ,মাদকের আলুটপাট, চুরি, দুর্নীতি, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, চাঁদাবাজি, শোষণ জোরজুলুম ও একচেটিয়া রাজত্ব কায়েম করে আসছিল।

ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকার প্রধান পালিয়ে গেলে এসব অত্যাচারী খুনি লুটেরাও পালিয়ে যায়। রেখে যায় তাদের অত্যাচারের ক্ষত চিহ্ন।

অভিযান পরবর্তী সময়ে উত্তেজিত জনতা রিপনের অফিস ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগের চেষ্টা করে ও রিপনের ছবিতে থুতু ছিটিয়ে পোস্টারে জুতা নিক্ষেপ করার খবর পাওয়া গেছে।

পালিয়ে গিয়ে মোবাইল বন্ধ রাখায় রিপনের বক্তব্য জানা যায়নি।

মামলার বাদী এস আই জাহাঙ্গীর বলেন-‘আসামী রেদোয়ান হোসেন রিপন দীর্ঘদিন চরফলকন এলাকায় নারী পুরুষকে জিম্মি করে আসছিল এবং সেখানে ত্রাসত্ব সৃষ্টি করেছে।

তার অফিস থেকে বিদেশী মদ, সোয়া এক কেজি গাঁজা,ব্যবহৃত কনডমসহ বিভিন্ন মাদক পাওয়া যায়।

সে নানা প্রলোভনে তার অফিসে নারীদেরকে নিয়ে এসে ধর্ষণ করতো। এর স্পষ্ট আলামত পাওয়া গেছে। আসামীকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর