অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জুরাইনে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া

আপডেট: November 22, 2024 |
inbound2261741625567335094
print news

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে জুরাইনে পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে জুরাইনে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকেরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রেখেছে। এতে আটকা পড়েছে অন্তত দুটি ট্রেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের কারণে নারায়ণগঞ্জ কমিউটার নামের একটি ট্রেন সেখানে আটকা পড়েছে। আর নকশীকাঁথা কমিউটার নামে একটি ট্রেন ঢাকা ছাড়তে পারছে না। চালকদের অবরোধে আপাতত ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা–মাওয়া–পদ্মাসেতু রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।

গত মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুলও জারি করেন আদালত।

হাইকোর্টের আদেশের পরদিন থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা।

বৃহস্পতিবার রিকশা চালকদের অবরোধে স্থবির হয়ে যায় রাজধানী। এ সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান তারা। অবরোধের কারণে প্রায় ৬ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাইকোর্ট থেকে অটোরিকশা বন্ধের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা তাঁরা মানেন না। এই নির্দেশ প্রত্যাহার চান তাঁরা। যতক্ষণ পর্যন্ত অটোরিকশা চালানোর অনুমতি না দেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

সিটি কর্পোরেশন থেকে প্যাডেলচালিত রিকশার লাইসেন্স নেওয়ার বিধান থাকলেও ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স দেওয়ার কোনো বিধান নেই। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স পেতে রিট করা করা হলে হাইকোর্ট ওই দুই রিটই খারিজ করে দেন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর