আজ শুরু হচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম

আপডেট: January 20, 2025 |
inbound1157207227709969046
print news

দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন ঢাকার সাভারে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

গতকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন।

শরিফুল আলম আরও বলেন, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজিসহ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানায়, ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এই কার্যক্রম চলবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। নিবন্ধন কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।

এদিকে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০টি স্ক্যানার এবং বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহে ব্যবহারের জন্য ৪ হাজার ৩০০টি ব্যাগ তুলে দেয় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।

এ সময় সিইসি নাসির উদ্দীন বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার ইউএনডিপি। গত ডিসেম্বর তাদেরকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য বলেছিলাম। এত দ্রুত তারা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করায় আমি অভিভূত।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা এর আগে যাদের জন্ম তাদের এবং বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদের তালিকাভুক্তি এবং মৃতদের ভোটার তালিকা থেকে কর্তনের জন্য তথ্যাদি সংগ্রহ করা হবে।

এ ছাড়া আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কেন্দ্রে নিবন্ধন (বায়োমেট্রিক গ্রহণসহ) করা হবে। এ সময়ে ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম অথবা বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে বাদ পড়েছেন তাদের নিবন্ধন করা হবে।

ভোটার হতে যেসব তথ্যের প্রয়োজন হবে-

১. ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি।

২. জাতীয়তা বা নাগরিকত্ব সনদের কপি।

৩. নিকট আত্মীয়ের (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি) এনআইডির ফটোকপি।

৪. এসএসসি, দাখিল, সমমান অথবা অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

৫. ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বা চৌকিদারি ট্যাক্স রশিদের ফটোকপি)।

ভোটার হওয়ার সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে-

১. নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সঙ্গে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে।

২. জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে।

৩. স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে।

৪. কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর