সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন-অবস্থান ধর্মঘট

আপডেট: February 18, 2025 |
inbound2586156737800796528
print news

আসাদুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় ট্রলি চাপায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে লাইভ চলাকালে স্থানীয় দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার চিত্র সংবাদিক ইমরান হোসেনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।

কর্মসূচি থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক ইমরানের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

সোমবার বেলা ১১ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালিত হয়।

কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-মামুন সাগর’র সভাপতিত্বে ও বাংলাভিশন ও দেশ রূপান্তরের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি হাসান আলীর সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দৈনিক সংবাদের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মিজানুর রহমান লাকি, দেশ টিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি নাহিদ হাসান তিতাস, দৈনিক সময়ের কাগজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুরুন্নবী বাবু, দৈনিক খবর ওয়ালার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুন্সী শাহিন আহমেদ জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে সাগর-রুনী হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে দেশে একের পর এক সাংবাদিক হত্যা নির্যাতন, হামলা মামলা ও হয়রানির ঘটনা ঘটছে।

এভাবে চলতে পারেনা। সাংবাদিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বিচার না পেলে কুষ্টিয়া থেকে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ।

প্রসঙ্গত রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯ টার সময় কুষ্টিয়া পৌরসভাস্থ ফুলতলা প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে সড়ক দূর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা “দৈনিক খবরওয়ালা” পত্রিকার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভ করার সময় পুলিশের উপস্থিতিতেই পৌরসভার কাস্টম মোড় হাশেম ডাক্তারের গলির চিহিৃত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী রকি (৩২) এবং আরিফুল (৩৩) সহ আরো ১০-১২ জন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।

হামলায় নাক, পিঠ ও মাথা কেটে গিয়ে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। যার একটি ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ইমরান হোসেনের থাকা অফিসের প্যানাসনিক পিভি-১০০ মডেলের ভিডিও ক্যামেরা এবং ক্যামেরার বয়া (মাইক্রোফোন) ছিনিয়ে নেয়।

এসময় অন্য সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

এসময় তার কাছে থাকা ভিডিও ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। এই ঘটনায় চিত্র সাংবাদিক ইমরান হোসেন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় লিখিত এজাহার জমা দেন।

এ ঘটনায় এজাহার নিতে গড়িমসি এবং বিলম্ব করায় রবিবার রাতেই কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শেহাবুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে রবিবার রাতেই একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও পুলিশ হামলাকারী কোন সন্ত্রাসীকে আটক করতে পারেনি।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, রাতেই এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। হামলার সাথে জড়িতদেও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর