ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোর প্রতিক্রিয়ায় যা বলছে সরকার

আপডেট: April 3, 2025 |
inbound779304194229100369
print news

পাল্টা শুল্ক নীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

সেখানে তিনি লেখেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক পুনর্বিবেচনা করছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দ্রুত শুল্ক যুক্তিসঙ্গত করার বিকল্পগুলো চিহ্নিত করছে, যা বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয়।

পোস্টে শফিকুল আলম আরও লেখেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং আমাদের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাজ করে আসছি। মার্কিন সরকারের সঙ্গে আমাদের চলমান কাজ শুল্ক সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাল্টা শুল্ক নীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশি পণ্যে এই আমদানি কর আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র জানায়, মার্কিন পণ্যে বাংলাদেশের আরোপিত শুল্ক ছিল ৭৪ শতাংশ।

৩৭ শতাংশ ‘রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ’র এই ঘোষণা বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বাংলাদেশে। কারণ, পণ্য রপ্তানি, বিশেষ করে পোশাক রপ্তানির ওপর দেশের অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভরশীল, যার সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকার শিল্পখাতের নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই উচ্চ শুল্ক বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দুর্বল করে দিতে পারে।

হোয়াইট হাউজ নতুন এই শুল্ক কাঠামোকে ব্যাখ্যা করছে, দীর্ঘদিনের একতরফা বাণিজ্য সম্পর্কের সংশোধনমূলক ব্যবস্থা হিসেবে। তবে অর্থনীতিবিদ ও বাণিজ্য সংস্থাগুলোর একাংশ সতর্ক করে বলছে, এই নীতি প্রতিশোধমূলক শুল্কের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং এতে করে মার্কিন ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের ব্যয় বেড়ে যাবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর