দামেস্কে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে ইসরায়েলের হামলা


ইসরায়েলের বিমান বাহিনী শুক্রবার (২ এপ্রিল) ভোরে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে হামলা চালিয়েছে। এপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার সকালে এ কথা বলেছেন। একই সঙ্গে নেতানিয়াহু সিরিয়ায় বসবাসরত দ্রুজ সম্প্রদায়ের সদস্যদের রক্ষারও অঙ্গীকার করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্রুজ হলো সিরিয়ায় বসবাসরত একটি ক্ষুদ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী। ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে তারা ইসলাম ধর্মের একটি শাখা হিসেবে বিবেচিত। সিরিয়া ছাড়াও লেবানন ও ইসরায়েলে এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর লোকদের বসবাস রয়েছে।
সংখ্যালঘু দ্রুজদের রক্ষার অঙ্গীকারের কথা বলে ইসরায়েল এ নিয়ে পরপর দুই দিন সিরিয়ায় হামলা চালাল। এর আগে গত বুধবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে ইসরায়েল হামলা চালায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হামলাগুলো সিরিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীনদের প্রতি ইসরায়েলের গভীর অবিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে।
সিরিয়ার বর্তমান শাসকগোষ্ঠী সুন্নি মতাদর্শ অনুসরণকারী ইসলামপন্থী। তারা গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসে।
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার জন্য বিষয়টি একটি অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কেননা, তিনি দ্বিধাবিভক্ত দেশটিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, “গত রাতে ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার দামেস্কে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে হামলা চালিয়েছে।”
নেতানিয়াহু আরও বলেন, “এটি সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা। আর তা হলো, তারা দামেস্কের দক্ষিণে সিরীয় বাহিনী মোতায়েন বা দ্রুজ সম্প্রদায়ের প্রতি কোনো হুমকি মেনে নেবে না।”
ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি দামেস্কের সাহনায়াহ শহরে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ৪০ জন নিহত হয়। এলাকাটিতে দ্রুজ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করে।
সে সময় দ্রুজদের ওপর হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছিল ইসরায়েল। পরে তারা বুধবার সিরিয়ার দামেস্কের উপকণ্ঠে হামলা চালায়।
ইসরায়েল সরকার জানিয়েছে, দ্রুজ সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর একটি কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর হামলার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে এমন হামলাকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ বলে নিন্দা জানায় সিরিয়া। তবে সিরিয়ার এই বিবৃতিতে ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করা হয়নি।