রিশাদ ও নাহিদকে দেশে ফেরানোর সর্বাত্মক চেষ্টা বিসিবির


কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলা নিয়ে উত্তেজনার জেরে নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান। যা রীতিমত উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলতে যাওয়া বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেনের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তারা এই মুহূর্তে পাকিস্তান অবস্থান করছেন। রিশাদ ও নাহিদকে দেশে ফেরানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিসিবি। এজন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাই কমিশনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিসিবি জানিয়েছে, ‘‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জাতীয় দলের ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন এবং নাহিদ রানার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে, যারা বর্তমানে চলমান পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অংশগ্রহণের জন্য পাকিস্তানে রয়েছেন।’’
‘‘বিসিবি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবং ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাথেও ক্রমাগত যোগাযোগ বজায় রাখছে। আগেই বলা হয়েছে, বিসিবি তার খেলোয়াড়দের এবং নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।’’
‘‘পাকিস্তানে অবস্থানকালে ক্রিকেটাররা যাতে নিরাপদ বোধ করেন তা নিশ্চিত করার জন্য বোর্ড পিসিবি এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন উভয়ের সাথেই নিবিড়ভাবে কাজ করছে। তদুপরি, বিসিবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করছে যাতে খেলোয়াড়দের সময়মত এবং নিরাপদে পাকিস্তান থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য সকল ব্যবস্থা করা হয়।’’
রিশাদ ও নাহিদ দুজন ইসলামাবাদে একই হোটেলে অবস্থান করছেন। দুজন আজ জিম করেছেন। সেই ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন রিশাদ। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘‘ভ্রাতৃত্ববোধ।’’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ভালোবাসার ইমোজি।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জনের প্রাণ গেছে। সেই হামলাকে ঘিরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। যুদ্ধের আবহ তৈরি হচ্ছিল দুই দেশেই। শেষমেশ তা-ই হয়েছে।
বুধবার রাতে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে হামলা চালানোর কথা বলেছে ভারত। এই হামলাকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দিয়েছে তারা। ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ভারতের দাবি এতে ৭০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। হামলার জবাবে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে।
এদিকে পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে আগামী ২১ মে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। এই সফর অনেকটাই অনিশ্চয়তায় পড়ে গেল। বিসিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সফর নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। যদিও এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয় বিসিবি।