গোপালগঞ্জে চলছে কারফিউ, থমথমে অবস্থা

আপডেট: July 17, 2025 |
inbound8509716746240298816
print news

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৯ জন এবং আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ জেলায় কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

বুধবার সকালে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ শিরোনামে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে এনসিপি। সকাল ৯টার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এনসিপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের মিছিল ও সমাবেশে বাধা দিয়ে হামলা চালান।

সদর উপজেলার কংশুর এলাকায় পুলিশের গাড়ি, ইউএনওর বহর, পৌরপার্কের সমাবেশস্থল, জেলা প্রশাসকের বাসভবন ও জেলা কারাগারের চারপাশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

দুপুর ২টার কিছু পর সমাবেশস্থলে পৌঁছান এনসিপির শীর্ষ নেতারা। সমাবেশ শেষে ফেরার সময় আবারও তাদের ওপর হামলা হয়। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে নেতারা জেলা পুলিশ কার্যালয়ে আশ্রয় নেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান ব্যবহার করে সন্ধ্যায় এনসিপি নেতাদের গোপালগঞ্জ থেকে খুলনায় স্থানান্তর করা হয়।

এনসিপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, হামলাকারীরা বিভিন্ন মসজিদে ঢুকে মাইক ব্যবহার করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তারা প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগসহ রাজধানী ও বিভিন্ন জেলায় সড়ক অবরোধ করে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা এলাকাতেও বিক্ষোভ হয়েছে।

ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে রাতের পরিস্থিতি বিবেচনায় গোপালগঞ্জে অতিরিক্ত দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শহরে প্রবেশের পথে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করায় অনেক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেননি বলে জানায় পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর