জয়পুরহাটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান


জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জয়পুরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে “জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান”-এর প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৫টায় শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের আমীর ও জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ফজলুর রহমান সাঈদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গোলাম কিবরিয়া, সহকারী সেক্রেটারি হাসিবুল আলম লিটন, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, জেলা উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জেলা আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান, শহর আমীর মাওলানা আনোয়ার হোসেন, সদর আমীর মাওলানা ইমরান হোসেন, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি তারেক হোসেন এবং সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলুর রহমান সাঈদ বলেন, “স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার করালগ্রাসে দেশ আজ ধ্বংসপ্রায়। জনগণের বাক-স্বাধীনতা, ভোটাধিকার এবং মানবাধিকার সম্পূর্ণভাবে হরণ করা হয়েছে। দেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো ইসলামী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা। জামায়াতে ইসলামী হলো সে পথের নেতৃত্বদাতা সংগঠন, যারা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।”
জেলা সেক্রেটারি গোলাম কিবরিয়া বলেন,
“জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ছিল ছাত্র জনতার প্রাণের দাবি আদায়ের সংগ্রাম।
শহীদের রক্তে রঞ্জিত সেই আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী সরকার টিকতে পারেনি। ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হতে হয়েছিল। আমরা সে বিপ্লবের চেতনাকে বুকে ধারণ করে আগামী দিনে দেশ গঠনে অগ্রসর হবো ইনশাআল্লাহ।”
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস, তাৎপর্য এবং জাতীয় জীবনে এর ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তারা বলেন,
এই অভ্যুত্থান ছিল দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে এক মাইলফলক।
তরুণদের সাহস, ছাত্রদের ত্যাগ ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার কারণে সরকার বাধ্য হয়েছিল পালিয়ে যেতে। এই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশ গড়ার প্রতি সচেতন হতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে উদ্ভাবন সাংস্কৃতিক সংসদ এর শিল্পীরা তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানটি দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করে।