আপডেট: September 14, 2025
|

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে শুরু হওয়া বৈঠকে বক্তব্যের শুরুতেই সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই সবকিছু সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। ঐক্যমত কমিশনের কাজও শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কিছু রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়—যদি এর কোনো আইনি ভিত্তি না থাকে তবে তারা এই সনদে স্বাক্ষর করতে পারব কি না চিন্তা করতে হবে।
তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে এবং এর কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, প্রধান উপদেষ্টা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথাগুলো বলেন বিএনপির এই নেতা।
জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের জন্য বিএনপি ইতিমধ্যে দুজন প্রতিনিধির নাম পাঠিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা সনদে স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত। তবে কিছু কারেকশন ও পর্যবেক্ষণ আছে, সেগুলো জানানো হবে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যাতে ভবিষ্যতে কোনো প্রশ্ন না ওঠে সে জন্য প্রধান উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত নিতে পারেন বলে সালাহউদ্দিন আহমদ প্রস্তাব দিয়েছেন। পাশাপাশি ছোট ছোট বৈঠকের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসে সনদ বাস্তবায়নের পথ আরও সুসংহত করার আহ্বান জানান তিনি।
জুলাই সনদকে একটি ঐতিহাসিক ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দলিল আখ্যা দিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এটি এমনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এটি কোনোভাবেই শর্তাধীন নয়। সংস্কার চলবে, বিচারপ্রক্রিয়া চলবে, তবে নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হতে হবে।’
ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির প্রধান প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচনে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে তা শুধু জাতীয় নিরাপত্তাই নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা পরিষদ এবং জাতির দৃঢ়সংকল্প হলো—একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা। ফেব্রুয়ারির এই নির্বাচন বিশ্বের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হবে।’