অব্যবহৃত ও অতিরিক্ত ব্যালট ফেরত নেওয়া হয়েছে: জাকসু নির্বাচন কমিশন

আপডেট: September 18, 2025 |
inbound8605624539422346122
print news

আমিনা হোসাইন বুশরা, জাবি প্রতিনিধি:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে আবাসিক হলগুলোতে ভোট গ্রহণের জন্য পাঠানো অতিরিক্ত, অব্যবহৃত ও নষ্ট ব্যালট পেপার ফেরত নেয়া হয়েছে এবং এর বিস্তারিত হিসাব নির্বাচন কমিশনের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তিনি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, প্রতিটি হলে কিছু অতিরিক্ত ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছিল।

কারণ, ভোটারসংখ্যা অনুযায়ী সঠিক সংখ্যক ব্যালট ছাপানো যায় না; সেগুলো বান্ডিল আকারে ছাপাতে হয়।

যেমন—কোনো হলে যদি ৩৮০ জন ভোটার থাকে, তবে সেখানে ৩৮০টি নয়, বরং ৪০০ ব্যালট ছাপাতে হয়। এছাড়া, ব্যালট নষ্ট হলে তা প্রতিস্থাপনের জন্যও অতিরিক্ত কপি সরবরাহ করা হয়।

তিনি আরও জানান, ফেরত আসা প্রত্যেকটি ব্যালটের তালিকা কমিশনের কাছে সংরক্ষিত আছে এবং সেগুলো ট্রাংকে তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছে।

ভোটগ্রহণ শেষে প্রত্যেক হলে রিটার্নিং অফিসাররা কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রত্যেকের উপস্থিতিতে ব্যালট সিলমোহর করে নিরাপত্তা সহকারে কমিশনে এসে জমা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের রিটানিং কর্মকর্তা সহযোগী অধ্যাপক মৃধা মো. শিবলী নোমান বলেন, নির্বাচনের দিনই ভোট শেষে অব্যবহৃত ও অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ট্রাংকে তালাবদ্ধ করে নির্বাচন কমিশনে হস্তান্তর করা হয়।

তিনি বলেন, ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট বক্স সিল করা থেকে শুরু করে ব্যবহৃত-অব্যবহৃত সকল সরঞ্জাম নির্দিষ্ট গাড়িতে তোলা পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, পোলিং এজেন্ট ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এমনকি ছাত্র প্রতিনিধি ও পোলিং এজেন্টদের পাহারাসহ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সরঞ্জামাদি কমিশনে পৌঁছানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনের শেষ সময়ে বিএনপিপন্থী তিনজন শিক্ষক অনিয়মের অভিযোগ তুলে মনিটরিং সেলের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

তাদের একজন অভিযোগ করেছিলেন, অতিরিক্ত ব্যালট ছাপানো হয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর