জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি আব্দুল মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে খুনি মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার অনুরোধ করছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান ও দেশের প্রচলিত আইনের সকল বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় প্রদান করা হয়েছিল। বিচারিক আদালত থেকে প্রদত্ত ফাঁসির রায় হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলে সুপ্রিম কোর্ট ফাঁসির রায় বহাল রাখেন। বিচারের সব পর্যায়ে নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত আসামি পক্ষের আইনজীবী তাদের প্রতিনিধি হিসেবে আদালতে উপস্থিত ছিল এবং উভয় পক্ষের সম্পূর্ণ শুনানির মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টে রিভিউয়ের আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন। এই খুনিদের ফাঁসির রায় সম্পূর্ণ বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।তিনি বলেন, ‘দেশের সংবিধান ও প্রচলিত ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী এ ফাঁসির রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে ফাঁসির রায় কার্যকর করার কথা আইনে উল্লেখ আছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফাঁসির রায় কার্যকরের জন্য আইনসঙ্গতভাবে যা করার সেটা শুরু হয়ে গেছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, সব বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং খুনিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে। সুতরাং, দেশের গঠনতন্ত্র এবং বিদ্যমান ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা নেই।
তিনি বলেন, আইনগুলোতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমাও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২৩ বছর ধরে ভারতের কলকাতায় অবস্থান করছিলেন মাজেদ। করোনাভাইরাস আতঙ্কে সেখান থেকে গত ১৬ মার্চ ময়মনসিংহের সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তিনি। মঙ্গলবার মাজেদকে ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫২ ধারায় ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হলে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।
বৈশাখী নিউজ/ ইডি