সোমবার থেকে গণপরিবহন চালু , ভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব

আপডেট: May 30, 2020 |

করোনা ঝুঁকি এড়াতে দেশে টানা দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ রাখার পর আগামী সোমবার (১ জুন) থেকে চালু হচ্ছে গণপরিবহন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত আসন ফাঁকা রেখে বাস চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি বাসে দাঁড়িয়ে কোনো যাত্রী না নেয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় বাস ভাড়া ৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন পরিবহন মালিকরা।

শর্তসাপেক্ষে সড়ক পরিবহন চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে শুক্রবার পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতা একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা দাবি করেন দাঁড়িয়ে যাত্রী না নেয়া ও ২৫-৩০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখা হলে তারা ক্ষতির মুখে পড়বেন। এ ক্ষেত্রে বাস ভাড়া ৫০ শতাংশ বাড়ানো হলে ওই ক্ষতি সামাল দেওয়া সম্ভব।

এ অবস্থায় সরকারের কাছে ৫০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব করছেন পরিবহন মালিকরা। প্রস্তাবে বলা হয়, বাড়তি এ ভাড়া সরকার ভর্তুকি হিসেবে পরিবহন মালিকদের দিতে পারে বা তা যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা যেতে পারে।

বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভাড়ার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়। বিআরটিএর যে ভাড়া নির্ধারণী কমিটি রয়েছে, সে কমিটির সদস্যরা শনিবার একটি সভা করবেন। সেখান থেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

বিআরটিএর কার্যালয়ে শুক্রবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভার এক পর্যায়ে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, গণপরিবহন চালুর পর স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও শারীরিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। বাস টার্মিনালে কোনোভাবেই ভিড় করা যাবে না। তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীরা গাড়ির জন্য লাইনে দাঁড়াবেন ও টিকিট কাটবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্টেশনে পর্যাপ্ত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাসে কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে পারবে না। বাসের সব আসনে যাত্রী নেয়া যাবে না। ২৫-৩০ শতাংশ আসন খালি রাখতে হবে। পরিবারের সদস্য হলে পাশের সিটে বসানো যাবে অন্যথায় নয়। যাত্রী, চালক, সহকারী, কাউন্টারের কর্মী সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। ট্রিপের শুরুতে ও শেষে বাধ্যতামূলকভাবে ভেতরের দিকসহ পুরো গাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। যাত্রী ওঠানামার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। চালক, কন্ডাক্টরদের একটানা ডিউটি দেয়া যাবে না। তাদের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোয়ারেন্টিন বা বিশ্রাম দিতে হবে।

মহাসড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো বিরতি না দেয়ার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, চা বিরতি এড়াতে পারলে ভালো, কারণ সংক্রমণ কোনখান থেকে হবে তা কেউই জানে না। যাত্রীদের হাতব্যাগ, মালামাল জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করতে হবে।

বিআরটিএর বৈঠকে উপস্থিত আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির একজন শীর্ষ নেতা বাস ভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি যুক্তি হিসেবে বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী তুলতে হলে ৫০ শতাংশ যাত্রী কম তুলতে হবে। তাই ভাড়া দ্বিগুণের কম বাড়ানো হলে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর