ব্রাজিলে করোনায় মৃত্যু ৪৯ হাজার ছাড়াল
সংক্রমণে এবার অতীতের সব রেকর্ড ভাঙল লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। প্রথমবারের মতো একদিনে অর্ধলক্ষের বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে দেশটিতে। এতে করে করোনার শিকার সোয়া ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। প্রাণহানি ঘটেছে ৪৯ হাজারেরও বেশি মানুষের। বেঁচে ফিরেছেন আক্রান্তদের অর্ধেকের বেশি মানুষ।
যার প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে শুরু থেকেই সরকারের অব্যবস্থাপনাকে। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালগুলোকে।
বাংলাদেশ সময় আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ হাজার ২০৯ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ গেছে ১ হাজার ২২১ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৪৯ হাজার ৯০ জনে ঠেকেছে।
আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্র ব্রাজিল। যা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যার ভয়াবহতার শিকার পেরু, চিলি ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলো। যার প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত লাখ ছাড়িয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা পেরুতে। দেশটিতে প্রাণহানি ততটা বেশি না হলেও সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সেখানে আক্রান্ত আড়াই লাখ ছুঁই ছুঁই। মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৬৬০ জনের।
এ অঞ্চলের আরেক ভুক্তভোগী চিলিতে ২ লাখ ৩১ হাজার ৩৯১ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে সেখানে ৪ হাজার ৯৩ জনের।
আর ঠিক যেন ব্রাজিলের পথেই হাটছে করোনায় আরেক বিপর্যস্ত লাতিন আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ লাখ ৭০ হাজার ৪৮৫ জন মানুষ ভাইরাসটি বহন করছেন। এর মধ্যে পৃথিবী ছেড়েছেন ২০ হাজার ৩৯৪ জন মেক্সিকান।
এছাড়া, ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা, রোমানিয়া ও পানামার মতো দেশগুলোতে ক্রমে বেড়েই চলেছে করোনার দাপট।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা