শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে করোনা জব্দের নতুন ফর্মুলা!

আপডেট: June 26, 2020 |

করোনাভাইরাস নিয়ে রিসার্চে নতুন এক তথ্য পাওয়া গেছে। এতে শ্বাস-প্রশ্বাসের নতুন ফর্মুলার কথা বলা হয়েছে, যার মাধ্যমে করোনা জব্দ করা সম্ভব। এমনটিই দাবি করলেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী লুইস জে ইগনারো। তার এই দাবি নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেছে বিশ্বে।

শ্বাস-প্রশ্বাসের নতুন ফর্মুলা সম্পর্কে বিজ্ঞানী ইগনারোর দাবি, নাক দিয়ে নিঃশ্বাস গ্রহণ করতে হবে আর মুখ দিয়ে ছাড়তে হবে। আর তাতেই আটকে দেয়া যাবে করোনার সংক্রমণ। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে তা পরিত্যাগ করাটা খুবই উপকারী পদ্ধতি। এতে শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপন্ন হয়। যার ফলে ফুসফুসে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, সেই সঙ্গে গোটা শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

১৯৯৮ সালে মেডিসিনে নোবেল পান বিজ্ঞানী ইগনারো। তাঁরই গবেষণা অনুযায়ী যারা নাক ও মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেন তাদের ন্যাজাল ক্যাভিটিতে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হয়। এই মলিকিউল ফুসফুসে রক্তের প্রবাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। একই সঙ্গে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।

বিজ্ঞানীদের দাবি, যখন কেউ নাক দিয়ে শ্বাস নেয় তখন নাইট্রিক অক্সাইড সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে যায়। এর জেরে ভাইরাসের সংক্রমণ ফুসফুসের রেপ্লিকেশন আটকে দেয়। এছাড়া রক্তে অধিক অক্সিজেন থাকলে মানুষ এমনিতেই সতেজ বোধ করে।

দ্য কনভার্সেশনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষ কিভাবে শ্বাস নেয়, তার ওপর নির্ভর করে করোনা সংক্রমণ আটকানো যাবে কি না। প্রতিবেদনে এও দাবি করা হয়, যারা নাক দিয়ে শ্বাস গ্রহণ করে মুখ দিয়ে ছাড়েন তাদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে। আর সেই দাবিকে আরও জোড়দার করলো নোবেলজয়ী ফার্মাকোলজিস্ট লুইস জে ইগনারোর দেয়া শ্বাস-প্রশ্বাসের নতুন ফর্মুলা।

বিজ্ঞানীরা আরও বলেন, মানুষের শরীরে সব সময় নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হয়। আর তার মাধ্যমে মানব দেহের ধমনি ও শিরাগুলোতে, বিশেষ করে ফুসফুসে এন্ডোথেলিয়াম গঠনে সহায়তা করে। এই এন্ডোথেলিয়াম সহায়তা করে উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কিত সমস্যা প্রতিরোধে।সূত্র: দি ওয়াল।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর