করোনায় ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত আরও ২৯ হাজার
গতকালের ন্যায় আবারও লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে কিছুটা কমেছে আক্রান্ত ও প্রাণহানি। তবে ইতিমধ্যেই ভাইরাসটির ভুক্তভোগী প্রায় সাড়ে ১৩ লাখে পৌঁছেছে। যাতে পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে সাড়ে ৫৭ হাজারের বেশি ব্রাজিলিয়ানকে। এর মধ্যে সোয়া ৭ লাখের বেশি রোগী সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।
এদিকে, করোনার ভয়াবহতা থেকে খুব সহসাই যে মুক্তি মিলছে না বিশ্ববাসীর, তা অনেকটা স্পষ্ট। ভাইরাসটি ইউরোপে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। যাতে সরকারের পদক্ষেপের পাশাপাশি ও জনসাধারণের সচেতনতা ছিল অনেক বেশি। যা লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে বলে গণমাধ্যমগুলোতে উঠে এসেছে।
প্রতিদিনই রেকর্ড আক্রান্তে শেষ পর্যন্ত এ অঞ্চলের দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে, এমন অবস্থার মধ্যদিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে।
বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৩১৩ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ২৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ গেছে ৫৫৫ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৫৭ হাজার ৬৫৮ জনে ঠেকেছে।
আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্র ব্রাজিল। যা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যার ভয়াবহতার শিকার পেরু, চিলি ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলো। যার প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত লাখ ছাড়িয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা পেরুতে। দেশটিতে প্রাণহানি ততটা বেশি না হলেও সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সেখানে আক্রান্ত ২ লাখ ৭৯ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৩১৭ জনের।
এ অঞ্চলের আরেক ভুক্তভোগী চিলিতে আক্রান্ত ২ লাখ ৭২ হাজারে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে সেখানে ৫ হাজার ৫০৯ জনের।
আর ব্রাজিলের পথেই হাটা মেক্সিকোয় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আর এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ হাজার ৬৪৮ জন।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা