আলোচনায় প্যাংগং, ভারত-চীন মুখোমুখি
উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-চীনের সম্পর্ক। লাদাখ সীমান্তে গলওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সতর্ক অবস্থানে আছে দুই দেশের সেনারা। এমন পরিস্থিতিতে লাদাখ সীমান্তে দ্বিতীয় ধাপের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসে ভারত-চীন। পূর্ব লাদাখের চুসুলে সকালে ওই বৈঠক শুরু হয়ে রাত দশটা পর্যন্ত পাওয়া খবরে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। মূলত প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার পাঁচ থেকে আট পর্যন্ত এলাকায় চীনের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা চলছে।
ভারতের সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, চুসুলে দু’পক্ষের বৈঠক শুরু হয় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটায়। ভারতের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেনার ১৪ কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরেন্দ্র সিংহ এবং চীনের পক্ষ থেকে ছিলেন দক্ষিণ জিংজিয়াং মিলিটারি প্রদেশের কমান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চীনা সেনা গত মে মাসে অনুপ্রবেশের পর থেকে এটি ছিল দু’পক্ষের চতুর্থ বৈঠক। গত ৩০ জুন শেষ বৈঠকটি হয়। তার পরেই ভারতের দাবি মেনে গালওয়ান উপত্যকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪, হট স্প্রিং এলাকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ ও গোগরা এলাকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৭ এবং ১৭ এ থেকে চীনা সেনা দু’কিলোমিটার পিছিয়ে যায়। ভারতও পিছিয়ে আসে দেড় কিলোমিটার। মাঝের ওই বাফার জোনে কীভাবে দু’দেশের সেনা নজরদারি চালাবে, তা নিয়ে এই আলোচনা হয়েছে।
ভারতের সেনা সূত্রের খবর, এবারের বৈঠকে মূল আলোচনাটি হয়, প্যাংগং-এর ফিঙ্গার চার থেকে আট পর্যন্ত যে এলাকায় চীন ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে, তা দখলমুক্ত করা নিয়ে। এর মধ্যে ফিঙ্গার চার থেকে সেনা অনেকটাই সরিয়ে ফিঙ্গার পাঁচে নিয়ে গিয়েছে চীন। কিন্তু ফিঙ্গার আট পর্যন্ত এলাকা ছেড়ে দিয়ে যাতে চীন ফিরে যায়, তা নিয়েই দফায় দফায় আলোচনা চলেছে।
সূত্রের মতে, ওই এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে ফিরে যেতে নারাজ চীন। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা