ঈদে যেকোনো মূল্যে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে: সেতুমন্ত্রী

আপডেট: July 18, 2020 |

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে সংক্রমণ উচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছেন। আসন্ন ঈদে জনসমাগম যে কোনো মূল্যে এড়িয়ে চলতে হবে। গণপরিবহন চলাচল অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদযাত্রায় সবাইকে নিজের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।

আজ শনিবার (১৮ জুলাই) সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পশুরহাট, লঞ্চ, বাস, রেলস্টেশন, ফেরিঘাট, শপিংমলসহ বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মানার সর্বোচ্চ চেষ্টা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, রোগীর অভাবে কোনো কোনো হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে গণমাধ্যমে রিপোর্ট এসেছে। সংক্রমণের বর্তমান স্তরে রোগীর সংখ্যা কম নয়। তা ছাড়া সাধারণ রোগী তো রয়েছেই। হাসপাতাল বন্ধ রাখা সমাধান নয়।

তিনি বলেন, আমি বলব, আপনারা রোগীদের আস্থা ফিরিয়ে আনুন। হাসপাতালমুখী হওয়ার পরিবেশ তৈরি করুন। অনেক বেসরকারি হাসপাতালের ওপর নানা কারণে রোগীদের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমেছে। তাই আশা করব আস্থা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে আক্রান্তদের পাশে থেকে দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন দেশের চিকিৎসক-নার্স মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এ ছাড়া আরও আছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মানবতার কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে সম্মুখ সারির অনেক যোদ্ধা ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রাণ দিয়েছেন চিকিৎসক-নার্স, টেকনোলজিস্ট, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ-আনসার, সেনা সদস্য এবং সাংবাদিকরা।

তিনি বলেন, আমি সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা ফ্রন্ট লাইনে কাজ করছেন তাদের জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দৃঢ় মনোবল নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশ ও জাতি আপনাদের এ ত্যাগ চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আপনারাই প্রকৃত বীর যোদ্ধা, আপনারা অন্যদের বেঁচে থাকার প্রেরণা।

শুদ্ধি অভিযান নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিল তাদের মুখে বর্তমান সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানকে নাটক বলে পরিহাস করা মানায় না। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই একটি মহল সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করাকেই দেশ ও জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালনের ব্রত করে নিয়েছে। তারা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযানকে সমর্থন ও সহযোগিতা না দিয়ে বরং অন্ধ সমালোচনা করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বন্যা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে সরকারিভাবে নেমে পড়ার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারের পাশাপাশি আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বেসরকারিভাবে এবং স্বেচ্ছাসেবকদের বন্যাদুর্গতদের প্রতি মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। অনেকে ঢাকায় বসে বক্তৃতা-বিবৃতি দোষারোপের রাজনীতি করছে, তাদের প্রতি অনুরোধ করছি বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর