২০ লাখ টাকায় ছাত্রলীগের পদ বিক্রির অভিযোগ

আপডেট: July 25, 2020 |

নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার নামে ২০ লক্ষ টাকা অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। যার একটি অডিও ক্লিপ গণমাধ্যমের কাছে রয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বলছে পদের জন্য কেউ টাকা লেনদেন করলে তারা ছাত্রলীগ করার অধিকার হারাবে।

জানা যায়, মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মাহতাবুর আলম জাপ্পিকে সাধারণ সম্পাদক বানাবে বলে তার ভাই আমেরিকা প্রবাসী শাহীনের কাছ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ২০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। তবে এটি মিথ্যা উদ্দেশ্য মূলক বলছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক।

মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী  মাহতাবুর আলম জাপ্পি বলেন আমি জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতি করতাম। সে সুবাদে আমার পরিবারের সাথে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়। এ সুবাদে আমার প্রবাসী বড় ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ রাখেন তারা। একসময় আমার বড় ভাইকে বলেন ২০ লাখ টাকা দিলে আমাকে মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা বানাবে। আমার ভাই সরল বিশ্বাসে সভাপতি কে ১১ লাখ আর সাধারণ সম্পাদকে ৯ লাখ টাকা দেন।

টাকা দেওয়ার বিষয়ে জাপ্পি আরো বলেন, ভাইয়া প্রথমে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমানের এক নিকট আত্মীয়র একাউন্টে গত মে মাসের ১৮ তারিখে ৭৮০০ ডলার যা বাংলা টাকায় আট লাখ এর পর ডাচ বাংলা ব্যংকের একাউন্ট নাম্বার ১৮৭১৫১০০৫০৮৯৫ তে আড়াই লাখ টাকা দেন। তারপর নগদে আরো পঞ্চাশ হাজার টাকা দেন।

আর সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহিকে নগদে পাচ লাখ আর চেকের মাধ্যমে আরো চার লাখ টাকা দেওয়া হয় বলে জানান ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা মাহতাবুর আলম জাপ্পি।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন ‘ আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। ব্যাংকের রশিদ আর অডিও রেকর্ডের বিষয়ে তিনি বলেন এ বিষযে আমার কোন মন্তব্য নেই।

সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মহি বলেন, আমি কোন টাকা নেইনি। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমাদেরকে হেয় করা হচ্ছে। তবে চেক আর সভাপতি টাকা নেওয়া বিষয়ে তিনি বলেন ওটা তার ব্যাপার সে দেখবে ।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, টাকা দিয়ে কখনো ছাত্রলীগের পদ পাওয়া যায় না। যারা মুজিব আদর্শের সৈনিক তাদের কর্মের উপর ভিত্তি করেই পদ দেওয়া হয়। হবিগঞ্জে উপজেলা ছাত্রলীগের বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। আরো তথ্য সংগ্রহ করছি। এরপর আমরা ব্যবস্থা নেব। যদি প্রমানিত হয় কেউ পদের জন্য টাকা দিয়েছে বা নিয়েছে। তবে উভয়ের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর শুরুটা হবে যে টাকা দিয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর