একটি বিশেষ থেরাপি বহু করোনা রোগীর প্রাণ বাঁচাচ্ছে

আপডেট: August 15, 2020 |

সারা বিশ্ব জুড়ে এখন চিন্তার বিষয় একটাই। করোনার প্রতিরোধ বা প্রতিকার কিভাবে সম্ভব। এরই মধ্যে করোনার ৫০০ টিরও বেশি ক্লিনিকাল ট্রায়াল নিয়ে কাজ চলছে। তবে এবার করোনার এক কার্যকরী চিকিৎসার কথা বলা হয়েছে। মেডিসিনাল সিগন্যালিং সেল এমএসসিএস থেরাপি ব্যবহার করে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব বলছে গবেষণা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছেন কেভিন কিমবারলিন। এরই মধ্যে দুইটি গবেষণায় এই থেরাপির কার্যকারিতা প্রমাণ হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা যায় এই সেলগুলো মৃতের হার অনেকাংশে কমায় বিশেষ করে খুব অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে। কেভিন কিমবারলিন জানান,এই সেল ভাইরাসকে নির্মুল করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুগুলোকে মেরামত করে।একই সাথে এতগুলো কাজ করার ক্ষমতা করোনার অন্য কোন ওষুধে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। জীবন বাঁচাতে অপূরণীয় ভূমিকা রাখছে এই থেরাপি। দুইটি গবেষণায় ২৫ জন গুরুতর অসুস্থ রোগীর উপর থেরাপিটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে করে ১২ জনের ১০ জন সুস্থ হয়েছেন এবং দ্বিতীয় গবেষণায় ১৩ জনের ১১ জন সুস্থ হয়েছেন।

এই প্রজেক্টের সাথে জড়িত চিকিৎসকরা বলছেন, এই থেরাপিটি মিরাকেল হতে পারে করোনা চিকিৎসায়। গবেষকরা বলছেন যে এমএসসিএস টি কোষের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং প্রদাহ হ্রাস করে। বুকের এক্সেরে করেই বোঝা যায় এর কার্যকারিতা মাঝে মাঝে থেরাপির শুরুর ৪৮ ঘন্টা পরেও থাকে।

মেসোব্লাস্ট স্টাডিতেও সফলতার সাথে কাজ করেছিল এমএসসিএস । তবে যদি স্টেরয়েডগুলি প্রদাহ বন্ধ না করে তবে শতকরা ৮০ ভাগ আক্রান্ত শিশু মারা যায়। তবে এমএসসিএসের একটি ট্রায়ালে স্টেরয়েডগুলিতে সাড়া না দেওয়ায় ২৩৯ রোগীর মধ্যে ১৬০ জন বেঁচে ছিলেন। তাদের টিস্যুও স্বাভাবিক হয়েছে।

মে মাসের ট্রায়ালের ফল সেপ্টেম্বরের শেষেই পাওয়ার কথা রয়েছে। তবে এই চিকিৎসার জন্য কত খরচ পড়বে তা এখনো স্পষ্ট না। সূত্র: বিজিআর, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

বৈশাখী নিউজএপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর