স্বাস্থ্য খাতের ২০ জনের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

আপডেট: September 21, 2020 |

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি চালক আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রীসহ ২০ জনের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতের ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।

দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য সোমবার জানান, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য খাতের ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২০ জনের সম্পদের হিসাব বিবরণী চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুদক।

তিনি জানান, পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরিত নোটিশ গত ১৫ সেপ্টেম্বর পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪’ এর ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (১) দ্বারা অর্পিত ক্ষমতাবলে তাদের নিজের এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে অথবা বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর অথবা অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী এই আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হলো।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে, অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনের ২৬ (২) উপ-ধারায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের যেসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে সম্পদের হিসেব বিবরণী চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন, অধিদফতরের ইপিআই বিভাগের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. মজিবুল হক মুন্সি, তার স্ত্রী মিসেস রিফাত আক্তার, ইপিআই বিভাগের ডাটা অ্যান্ট্রি অপারেটর তোফায়েল আহমেদ ভূইয়া, তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার, গাড়ি চালক মো. আব্দুল মালেক, তার স্ত্রী নার্গিস বেগম, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওবাইদুর রহমান, তার স্ত্রী বিলকিচ রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের স্টাফ নার্স রেহেনা আক্তার, রংপুর মেডিকেল কলেজের হিসাব রক্ষক ইমদাদুল হক, তার স্ত্রী উম্মে রুমান ফেন্সী, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাহমুদুজ্জামান, তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন, গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন, তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অফিস সহকারী (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) কামরুল হাসান, তার স্ত্রী ডা. উম্মে হাবিবা, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুল ইসলাম, সাবেক সহকারি প্রধান (নন মেডিকেল) বর্তমানে সহকারি প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা,পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয়, বরিশাল বিভাগ মীর রায়হান আলী এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাব রক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন।

২০১৯ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক। এছাড়াও ইতোমধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বৈশাখী নিউজবিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর