১১ দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট চলছে

আপডেট: October 20, 2020 |

সারাদেশে ১১ দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকাল থেকে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত ঢাকার মতিঝিল বিআইডব্লিউটিএ ভবনে নৌযান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে কোনো ফলাফল না আসায় পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ধর্মঘট শুরু করেন শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম বলেন, রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল প্রকার পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এর আগে, গত ১৩ অক্টোবর রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম অধিদপ্তরের সামনে নৌশ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন থেকে ১১ দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার জানান, সোমবারের বৈঠকে সমুদ্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পরিচালক, বিআইডব্লিটিএ এর চেয়ারম্যান, শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক, নৌ-পুলিশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

শ্রমিক নেতা শাহ আলম বলেন, আমরা মালিকদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনায় আমাদের যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেছি। কিন্তু মালিকরা আমাদের কোনো দাবি মেনে না নেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত অনড় থাকতে হয়েছে।

শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফা দাবিগুলো হচ্ছে-
– বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে চাঁদাবাজি-ডাকাতি বন্ধ করা।
– ২০১৬ সালে ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী নৌযানের সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন প্রদান।
– ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস এবং মালিক কর্তৃক খাদ্যভাতা প্রদান।
– সব নৌযান শ্রমিকের সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ।
– এনডোর্স, ইনচার্জ, টেকনিক্যাল ভাতা পুনর্নির্ধারণ।
– কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ।
– প্রত্যেক নৌশ্রমিককে মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান।
– নদীর নাব্য রক্ষা ও প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন।
– মাস্টার-চালক পরীক্ষা, সনদ বিতরণ ও নবায়ন, বেআইনি নৌচলাচল বন্ধ করা।
– নৌপরিবহন অধিদপ্তরে সব ধরনের অনিয়ম ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধ এবং
– নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর