বাংলাদেশের বন্ড মার্কেট বিকাশে আইএফসি’র সহযোগিতা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী

সময়: 7:16 pm - October 31, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 3 বার

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের বন্ড মার্কেট বিকাশে ‘ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন’ বা আইএফসি’র সহযোগিতা চেয়েছেন । বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ-এর ‘বার্ষিক সভা-২০২০’-এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে আইএফসি’র সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় অর্থমন্ত্রী এ সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের পক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং আইএফসি প্রতিনিধিদলের পক্ষে সংস্থার চিফ অপারেটিং অফিসার মিসেস স্টিফানি ফন ফ্রিডবার্গ নেতৃত্ব দেন। শনিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএফসি’র সহায়তায় গত বছর বিশ্বে প্রথমবারের মতো লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে প্রাথমিক ভিত্তিতে ৮০ কোটি ৭০ লাখ টাকার (৯৫ লাখ ডলার) সমপরিমাণ বাংলাদেশি ‘টাকা বন্ড’ চালু করা হয়েছিল, যা আগামী এক বছরে প্রায় ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা (১০০ কোটি ডলার) মূল্যমানের বন্ডে উন্নীত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিল ‘আইএফসি’। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত ছিল। কারণ এটি আন্তর্জাতিক বাজারে জারি করা প্রথম বাংলাদেশী ‘টাকা বন্ড’। পরবর্তীতে করোনার কারণে এটি কিছুটা স্তিমিত হয়ে গেলেও আশা করা যায় এখন আবার ‘আইএফসি’ এ খাতটি সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

কোভিড -১৯-এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদস্য দেশগুলোর জন্য ৮০০ কোটি ডলার বরাদ্দ দেয়ায় ‘আইএফসি’-কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ নির্বিচারে বিশ্ব অর্থনীতি ও মানবজীবন হুমকীর সম্মুখীন করেছে, বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশের জন্য সহযোগিতা বাড়ানো বিশেষত: মহামারীতে দ্বারা আক্রান্ত হওয়া বেসরকারি খাতকে প্রণোদিত করার আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাত যাতে স্বল্প সময়ের মধ্যেই প্রত্যাবর্তন করতে পারে সেজন্য সুদের হার হ্রাস করতে ‘আইএফসি’-কে অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া কোভিড-১৯-এর টিকা আবিস্কারের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আইএফসি-কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার জন্যও আহ্বান জানান তিনি। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে আইএফসি প্রতিনিধিদলের প্রধান সভায় আশ্বস্ত করেন যে, বাংলাদেশের বিষয়গুলো অবশ্যই ইতিবাচকভাবে দেখা হবে ।

সভায় অংশ নিয়ে অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আর্থিক খাত পুনর্গঠন ও সুদের হার ক্যাপিং-এ আমরা কাজ করে চলেছি। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ‘সল্ভেনসি এ্যাক্ট’, ‘ব্যাংক কোম্পানী এ্যাক্ট’, ‘এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট এ্যাক্ট’সহ বেশকিছু এ্যাক্ট প্রণয়নের কাজে করছে, যা আমাদের আর্থিক খাত পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার কোভিড-১৯ টিকা ক্রয়ে অত্যন্ত আগ্রহী ও বদ্ধপরিকর। তাই এ খাতে বড় অংকের অর্থের সংস্থানের বিষয়টিও জড়িত। আমাদের দেশীয় তিনটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠানকে টিকা তৈরী করার উপযোগী করতে শুরু করেছে, আশা করা যায় টিকা আবিস্কারের ছয় মাসের মধ্যেই এ প্রতিষ্ঠানগুলো দেশে টিকা প্রস্তুত করতে সক্ষম হবে। যেহেতু আমাদের বিশাল জনসংখ্যার জন্য সব টিকাই আমদানী করা সম্ভব নয়, তাই আমাদের দেশীয় টিকার উপরও আমরা গুরুত্ব দিব। এ সকল প্রতিষ্ঠানেরও টিকা প্রস্তুত করতে প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। এ খাতে আইএফসি’র সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।

বৈশাখী নিউজ/  এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর