মাদক, জঙ্গি, নারী নির্যাতন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

সময়: 3:59 pm - November 26, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 2 বার

মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধী যে দলেরই হোক, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। কারো মুখের দিকে চেয়ে নয় বরং মাদক, জঙ্গি, নারী নির্যাতন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

আজ বৃহস্পতিবার ১১৬তম, ১১৭তম এবং ১১৮তম ব্যাচের আইন ও প্রশাসনের প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতেও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। ফলে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যা যা করা দরকার, তার সবটুকুই আমরা করছি।’

‘আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা চক্রান্ত করেছিল, তারা দীর্ঘদিন ধরেই দেশকে পিছিয়ে রেখেছে। বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী করার। প্রথমে আমরা স্বল্প মেয়াদে ২০১০-২০ পর্যন্ত পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। দ্বিতীয় ধাপে ২০২১‌-২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি আমরা আগামী ১০০ বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধী যে দলেরই হোক, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। কারো মুখের দিকে চেয়ে নয় বরং মাদক, জঙ্গি, নারী নির্যাতন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘একটি জাতির উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা থাকতে হয়, অন্যথায় উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা দেশের উন্নয়নে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হাত নিয়েছি। যারা গরিব মানুষ, ভাগ্যহারা মানুষ, তাদের জন্য কাজ করতে হবে। আপনারা মেধা দিয়ে, মানুষকে সেবা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমাদের যুব সমাজ লার্নিং অ্যান্ড আর্নিংয়ের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সের মাধ্যমে নিজেরে পায়ে দাঁড়াতে পারবে। এখন থেকে ফ্রিল্যান্সারদের আইডি কার্ড দেওয়া হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চাকরিজীবীদের জীবন মান উন্নয়নে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামো, স্বল্প সুদে আবাসনের ব্যবস্থাসহ সব সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা কারো কাছে হাত পেতে নয় বরং স্বয়ংসম্পূর্ণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতে আমরা অনেক উন্নয়ন করেছি। আমরা তথ্যপ্রযুক্তিতে আরো সমৃদ্ধশালী হতে চাই। সারা বাংলাদেশে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি। সারা দেশের মানুষের ঘরে ঘরে বিদুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর