মাদারীপুরে এক গৃহবধূকে গনধর্ষণ , গ্রেফতার ২

আপডেট: December 13, 2020 |

পূর্ব শত্রুতার জেরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে শিবচর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছে ভুক্তভোগী। রাতেই পুলিশ ধর্ষণে জড়িত ও সহযোগিতার অভিযোগে নারীসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর আগে রাতে শিবচর থানায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী এক নারীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। আসামিরা হলো- আখি আক্তার (২৫), সুবল মণ্ডল ওরফে সুমন মোল্লা (৩২), সোহেল (৩৫), এসকান (৩৭) ও অটোরিকশাচালক সোহাগ হাওলাদার (৩৫)।

মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীর স্ত্রী আখি আক্তার ভুক্তভোগী ওই নারীর পূর্ব পরিচিত। তিন মাস আগে আখি শিবচর পৌর এলাকায় বসবাস করার সময় ভুক্তভোগী ওই নারীকে দেহ ব্যবসার প্রস্তাব দেয়। এ ঘটনা জানতে পেরে ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের সদস্যরা আখিকে বেদম মারধর করে।

এর পর আখি স্থান ত্যাগ করে বাখরেরকান্দি প্রজেক্টের মধ্যে বাসা ভাড়া নেয়। সেখানে সে সুবল মণ্ডল ওরফে সুমন মোল্লার সঙ্গে থাকত।

শনিবার ভুক্তভোগী ওই নারী সন্তানের জন্য দুধ কেনার টাকা ধার আনতে পাঁচ্চর সোনার বাংলা প্লাজার পাশে তার ফুপাতো ভাইয়ের কাছে যান।

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই দিন দুপুরে সোনার বাংলা প্লাজার কাছ থেকে ওই নারী ও তার সহযোগীরা জোর করে তাকে একটি ইজিবাইকে উঠিয়ে বাখরেরকান্দি প্রজেক্টের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে আটকে রাখে।

সেখানে নিয়ে প্রথমে তাকে মারধর করে তারা। এর পর সোহেল, এসকান ও সুবল মণ্ডল নামের তিন ব্যক্তি তাকে একাধিকবার দলবেঁধে ধর্ষণ করে। পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মুখ বেঁধে ইজিবাইকে করে পুনরায় ধর্ষণের জন্য অন্যত্র নেয়ার সময় কৌশলে মুখ খুলে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে ইজিবাইকটির পথরোধ করে।

এ সময় ইজিবাইকে থাকা আসামিরা দ্রুত পালিয়ে গেলে গৃহবধূকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।

রাতে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে শিবচর থানায় পাঁচজনের নামে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

শিবচর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন সেরনিয়াবাত বলেন, মেডিকেল রিপোর্টের জন্য ভুক্তভোগীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন বলেন, মামলার পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিকভাবে দলবেঁধে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আখি মূলত দেহ ব্যবসায়ী। পূর্ব শত্রুতার জেরে আখিই এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

বৈশাখী নিউজ/ ফাজা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর