সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে : পরিবেশমন্ত্রী

সময়: 4:00 pm - December 13, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 3 বার

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মানবদেহ ও পরিবেশের ওপর একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনা করে সরকার এর ব্যবহার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।

মন্ত্রী আজ রবিবার (১৩ ডিসেম্বর ) এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) আয়োজিত ‘হাই লেভেল পলিসি ডায়ালগ অন স্টপিং টক্সিক প্লাস্টিক ওয়েস্ট ট্রেড অ্যান্ড ইটস ট্রান্সবাউন্ডারি মুভমেন্ট’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে ঢাকায় অবস্থিত নিজের সরকারি বাসভবন থেকে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক পণ্য মাটি ও পানিতে বছরের পর বছর থেকে পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আবার খাদ্যচক্রের সঙ্গে মিশে গুরুতরভাবে মানব স্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন করে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় বর্তমান সরকার ২০১০ সালে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য জুট প্যাকেজিং আইন পাস করে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধ করতে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের হাইকোর্ট চলতি  বছরের জানুয়ারি মাসে আগামী এক বছরের মধ্যে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ১৪০০ ডেলিগেটস ২০১৯ সালের ১০ মে প্লাস্টিক বর্জ্যকে ব্রাসেল কনভেনশনে অন্তর্ভুক্ত করতে এবং এসব বর্জ্যকে একটি আইনি কাঠামোতে আনতে ঐকমত্য প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্যের ট্রান্স-বাউন্ডারি মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রণে একটি আইনি কাঠামো তৈরি করেছে। তা ছাড়া আমদানিনীতি ২০১৫-২০১৮ অনুযায়ী বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পলিথিনের বিকল্প পাটের ব্যাগ উদ্ভাবনেও সরকার কাজ করছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের সবার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে খাবার ও ব্যক্তিগত পণ্যের মোড়ক, পানির বোতল, শ্যাম্পুর বোতল ও মিনি প্যাক, কন্ডিশনার প্যাকেট, টুথপেস্ট টিউব, প্লাস্টিক টুথব্রাশ, টি-ব্যাগ এবং বিভিন্ন খাবারের প্যাকেট, প্লাস্টিকের চামচ, স্ট্র, প্লেট, কাপ, গ্লাসসহ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে শিল্পপতি, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের অ্যাম্বাসাডর নাওকি ইতো, জাইকার প্রতিনিধি কোজি মিতোমোরি, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহমদ, এসডোর সভাপতি ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন। সেশনটি পরিচালনা ও সভাপতিত্ব করেন এসডোর সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর