বাণিজ্যযুদ্ধে অনড় ট্রাম্প, ক্ষুব্ধ বেইজিং

আপডেট: December 21, 2020 |

জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে এলে আমেরিকা-চীনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ অনেকটাই গলবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের। ২০ জানুয়ারি শপথ বাইডেনের। কিন্তু তার মাসখানেক আগেই বেইজিংয়ের সঙ্গে নয়া দ্বন্দ্বে জড়ালেন বিদায়ী আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ফের বাণিজ্যযুদ্ধে ট্রাম্প। চীনা সেনার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে মূল চীনা ভূখণ্ডের অন্তত ৫৯টি সংস্থার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার ইঙ্গিত দিলেন।

স্পষ্ট জানালেন, তার দেশের হিসাব-নিরীক্ষার মানের সঙ্গে পাল্লা না-দিলে কোনো চীনা সংস্থাকেই তিনি আমেরিকায় পণ্য রফতানি করতে দেবেন না। বন্ধ থাকবে আমেরিকান স্টক এক্সচেঞ্জের দরজাও।
গত মে মাসে সিনেট অনুমোদন দেওয়ার পরে চলতি মাসেই কংগ্রেসের উভয় কক্ষ থেকে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এই নিষেধাজ্ঞা বিলে সায় মেলে। যাতে আইন অমান্যকারী যেকোনো বিদেশি সংস্থাকেই আমেরিকান স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলার বিধান ছিল।

কিন্তু বুলগেরিয়া, ফ্রান্স, পাকিস্তানের মতো কিছু দেশের হাতেগোনা কিছু সংস্থা আমেরিকার কালো তালিকায় এলেও ট্রাম্পের নিশানা মূলত চীনই। স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পের এই ‘ভিত্তিহীন’ নিষেধাজ্ঞায় বেজায় চটেছে বেইজিং। শুক্রবার বিলে সই করেছেন বিদায়ী আমেরিকান প্রেসিডেন্ট।

যার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল কড়া বিবৃতি দিয়ে চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কথায়-কথায় আমেরিকার এই হুমকি তারা আর মেনে নেবে না। দেশের ছোট-বড় সংস্থাগুলোর অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে তারা এর পাল্টা জবাব দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং।

চীনা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে ব্যবসা করার অভিযোগ অনেক দিন ধরেই করে আসছেন ট্রাম্প। দফায় দফায় সে জন্য তাদের পণ্যের উপর করের বোঝাও চাপিয়েছেন। কিন্তু এ বছর তিক্ততার মাত্রা বেড়েছে আরও খানিকটা। যার একটা প্রধান কারণ হিসেবে করোনা অতিমারিকে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

ট্রাম্পের দাবি, উহান থেকেই ছড়ানো হয়ে‌ছে এই ভাইরাস। আর চীন ইচ্ছে করেই বহু দিন পর্যন্ত তা চেপে গিয়েছিল বাকি বিশ্বের কাছে। বেইজিং সময়মতো ব্যবস্থা নিলে অতিমারি আজ এই চেহারা নিত না বলেও দাবি তার।

চলতি বছরে চীনের উপর একের পর এক বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা এই রাগ থেকেও বলে মনে করছেন অনেকে। আবার বাইডেনের ভোটে জেতার পেছনে আমেরিকায় করোনা মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতাও একটা বড় কারণ বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের। ট্রাম্প তাই আদতে চীনের সঙ্গে তিক্ততা বাড়িয়ে বাইডেনের পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখলেন কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। সূত্র : আনন্দবাজার

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর