পানাম নগরের সংস্কারের উদ্দেশ্যে ‘গবেষণামূলক পাইলটিং’ কাজ শুরু হয়েছে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সোনারগাঁওয়ের ঐতিহাসিক পানাম নগরের সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ‘গবেষণামূলক পাইলটিং’ কাজ শুরু হয়েছে। এর আওতায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ প্রত্নতত্ত্ববিদদের তত্ত্বাবধানে ১৩ নং ভবনটি সংরক্ষণ করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের নিয়মিত রাজস্ব খাত হতে এ পাইলটিং কাজটি সম্পাদন করা হচ্ছে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জানিয়েছেন, পাইলটিং কাজটি সফল হলে এবং দেশ-বিদেশের প্রত্নতত্ত্ববিদরা এটিকে আদর্শ হিসাবে বিবেচনা করলে পর্যায়ক্রমে পানাম নগরের অন্যান্য ভবনসমূহও সংস্কার-সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হবে। পানাম নগরের আদি রূপ ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে এটিকে সংরক্ষণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী গত রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর আয়োজিত ‘পানাম নগরের ১৩ নং ভবনের গবেষণামূলক পাইলটিং কাজ’ উদ্বোধনকালে এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হান্নান মিয়া, বিশিষ্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ ও এশিয়া-প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ডিন অধ্যাপক আবু সাইদ, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক রাখী রায় প্রমুখ।
জানা গেছে, পানাম নগরের গবেষণামূলক পাইলটিং কাজটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর হতে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের সুপারিশ এবং সরাসরি তত্ত্বাবধানে পানাম নগরে পাইলটিং কাজটি সম্পন্ন করা হচ্ছে।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে পানাম নগরের এই ভবনটিতে গবেষণামূলক পাইলটিং কাজের প্রাক কাজ হিসেবে ইতোমধ্যে ডিজিটাল ড্রইং ডকুমেন্টেশন, লোড বেয়ারিং ক্যাপাসিটি টেস্ট, এরিয়াল সার্ভে, প্লিন্থ লেবেল খননের কাজ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে প্রায় ৫ মিটার প্রশস্ত ও ৬০০ মিটার দীর্ঘ একটি সড়কের দু’পাশে সুরম্য স্থাপনা নিয়ে পানাম নগর গড়ে ওঠেছিল। পানাম নগরীর রাস্তার দু’পাশে মুখোমুখি দ্বিতল ও ত্রিতল বিশিষ্ট মোট ৫২টি ইমারত রয়েছে। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর। পানামের টিকে থাকা বাড়িগুলোর মধ্যে পানাম সড়কের উত্তর পাশে ৩১টি আর দক্ষিণ পাশে ২১টি বাড়ি রয়েছে।
বৈশাখী নিউজ/ ফাজা