আমার বাবা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন পাইলট হিসেবে : ভারতীয় হাইকমিশনার

আপডেট: December 22, 2020 |

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, আমি গভীরভাবে শ্রদ্ধা জানাই সীতাকুণ্ড উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও আত্মোৎসর্গকারী ভারতীয় সেনাদের। আমার বাবা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন পাইলট হিসেবে। তাই আমি খুব গর্বিত।

আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের উপস্থিতিতে সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে স্মৃতিস্তম্ভটি উদ্বোধনের পর এ মন্তব্য করেন তিনি।

দোরাইস্বামী বলেন, আজ আমি নিজে গর্ববোধ করছি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনারা একসঙ্গে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন এ এলাকায়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুর্ত্বপূর্ণ সম্পর্ক শুধু ঐতিহাসিক ও সংস্কৃতিগত নয়, এটি রক্তের সম্পর্ক।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন বাংলাদেশের স্পিরিট। বাংলাদেশের জন্য তার আত্মত্যাগ এদেশের জনগণ ভুলতে পারবে না। এ দেশ স্বাধীন হয়েছে ত্রিশ লাখ শহীদ, নারীর সম্ভ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে। যারা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে চায় তারা সফল হবে না।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুস সালামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল। এসময় চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন, মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, ভারতীয় হাইকমিশনারের সহধর্মিণী সংগীতা দোরাইস্বামী, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি দীপ্তি আলংঘাট, চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র নির্মাণে ৩০ লাখ টাকার অর্থায়ন করেছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের আবদুস সালামের দাবি, তাদের কাছে থাকা তথ্যে মিত্রবাহিনীর শহীদদের স্মরণে দেশে নির্মিত এটিই প্রথম ভাস্কর্য।

বৈশাখী নিউজবিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর