মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে প্রতারণার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব

আপডেট: January 24, 2021 |

২০১৫ সালে গড়ে প্রতিদিন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ৩৩ লাখ বার লেনদেন হতো। ২০২০ সালে এসে সেই লেনদেন হচ্ছে গড়ে প্রতিদিন ৯০ লাখের বেশি, টাকার অংকে গড়ে প্রতিদিন ১৬০০ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ প্রতিদিন কোটি গ্রাহক জীবন সহজ করা মোবাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নানা সেবা আস্থার সঙ্গে, নির্ভরতার সঙ্গে ব্যবহার করছেন এবং দিন দিন এর গ্রহণযোগ্যতা বেড়েই চলছে।তবে এরপরও অজ্ঞতা, ভয়, লোভে পড়ে বহুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। অথচ একটু সচেতন হলেই প্রতারণার ঝুঁকি এড়ানোর সম্ভব সহজেই। অসচেতনতার কয়েকটি তথ্য তুলে ধরা হলো এখানে।

সালমা চৌধুরী  অফিসের জরুরি কাজে ব্যস্ত। এর মাঝেই কাস্টমার কেয়ারের মতো একটা নম্বর থেকে ফোন। বলা হলো, আপনার মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের তথ্য আপডেট করতে হবে, না হলে বন্ধ হয়ে যাবে। ভীষন প্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকায় সালমা চৌধুরী  অপরিচিত নম্বরেই তার ওটিপি, পিন সব জানিয়ে দিলেন এবং কিছুক্ষণ পর আবিষ্কার করলেন অ্যাকাউন্টে টাকা নেই।

জহির সরকার  একটা দোকান থেকে ২০০০ টাকা ক্যাশ আউট করিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরেই ফোন, আপনি ক্যাশ আউট করিয়েছেন, আপনার অ্যাকাউন্টে সমস্যা আছে। তিনি বিশ্বাস করেই তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে সমস্ত গোপন তথ্য শেয়ার করে দেন এবং প্রতারণার শিকার হন।

অপিরিচত নম্বর থেকে ফোন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী  লাবিবকে বলে আপনি ৭০ হাজার টাকা লটারি জিতেছেন। ১০ হাজার টাকা পাঠান বা কিছু তথ্য দিন। লাবিব খুশিতে পিন ও ওটিপি জানিয়ে দেন এবং প্রতারণার শিকার হন।

প্রতারণার অস্ত্র ‘অজ্ঞতা-ভয়-লোভ’

এই তিনটি সামাজিক অপকৌশলের কবলে পড়েই সালমা চৌধুরী, জহির সরকার এবং লাবিব টাকা হারিয়েছেন। সব প্রতারণার ক্ষেত্রেই সামাজিক এই অপকৌশলগুলো ব্যবহৃত হয়। গ্রাহকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার গোপন তথ্য সংগ্রহ করেই অসাধু প্রতারক চক্র প্রতারণা করার সুযোগ পায়। অথচ একটু সচেতন হলেই এই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।

এক মনোসামাজিক গবেষণায় দেখা যায়, গোপন তথ্য নিয়ে অসচেতনতা, প্রতারকের কথায় বিশ্বাস করা, অযথা ফোনে অপরিচিত নম্বরে দীর্ঘক্ষণ কথা বলা- এমন অনেক ভুল পদক্ষেপ নিয়েই ফাঁদে পড়েন ব্যবহারকারীরা।

বৈশাখী নিউজফাজা

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর