৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসছে আজ
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির প্রথম চালানের ৫০ লাখ করোনা টিকা দেশে আসছে আজ। সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমানে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। প্রতি কার্টনে ১২শ ভায়ালে থাকবে ১২ হাজার ডোজ টিকা। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালক মার্কেটিংয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ৫০ লাখ ডোজ টিকা আগামী ২৫ জানুয়ারি এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমানে দেশে আসবে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির প্রথম চালান এটি। সকাল ৮টায় ভরত থেকে রওনা হয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় এই বিমান হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে। চিঠিতে আরও বলা হয়, সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রাপ্ত টিকা প্রতি কার্টনে ১২শ ভায়াল থাকবে। কোল্ড চেইন ব্যবস্থা থাকার কারণে কার্টন সর্বশেষ গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে খোলা যাবে না।
এদিকে রোববার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে এক অনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ভারত সরকারের উপহারের ২০ লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে। আগামীকাল (আজ) চুক্তি অনুযায়ী আরও ৫০ লাখ টিকা দেশে আসবে। এই ৭০ লাখ দেশে রাখা ও বিতরণের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ভারতের দেওয়া অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বিশ্বের সবচেয়ে সহনশীল ও কার্যকর। এটা ভারত ও ইউকেতে পরীক্ষা শেষেই দেশে এসেছে। অন্যগুলোর তুলনায় আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এই টিকা সবচেয়ে বেশি মানানসই। তবে যেকোনো টিকার সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতেই পারে। তাছাড়া, বর্তমানে সরকার দেশব্যাপী ৯ ধরনের টিকা দিচ্ছে। সেখানেও ছোটখাটো কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। এটা প্রয়োগে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার জন্য স্বাস্থ্য খাতের টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে টেলিমেডিসিন সেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সুতরাং সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে করোনার মতো জীবনঘাতী ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা না নেওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে, এ ক্ষেত্রে সরকার কাউকে বল প্রয়োগ করবে না। সবাই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে গ্রহণ করতে পারবেন। এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর উপস্থিত ছিলেন।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা