আয়ারল্যান্ড উলভসকে ৪-০ তে হারিয়ে সিরিজ বিজয়ী বাংলাদেশ ইমার্জিং দল
মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরিতে আয়ারল্যান্ড উলভসকে পঞ্চম ও শেষ আনঅফিসিয়াল ওয়ানডেতে ২৬১ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। তারপর ২৩৭ রানে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে সহজ জয়ের আভাস পাচ্ছিল তারা। কিন্তু সফরকারীদের শেষ জুটির প্রতিরোধে ম্যাচে ছড়ায় রোমাঞ্চ। শেষ পর্যন্ত জয়টা ধরা দিয়েছে ইমার্জিং দলকে। ঢাকার মিরপুরে ৫ রানে তাদের হারিয়ে সিরিজ ৪-০ তে শেষ করেছে স্বাগতিকরা।
মাহমুদুলের ১২৩ রানের দারুণ ইনিংসে ইমার্জিং দল ৪৯.৪ ওভারে ২৬০ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৫ রান করে আয়ারল্যান্ডের দলটি। সেঞ্চুরিতে ম্যাচসেরা হয়েছেন মাহমুদুল, সিরিজে আরও দুটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস থাকা এই ব্যাটসম্যান হয়েছেন সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ও।
আড়াইশ ছাড়ানো স্কোরে মাহমুদুলের সঙ্গে অবদান রাখেন আনিসুল ইসলাম ইমন ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৩১ বলে ৮ চারে ৪১ রান করেন ইমন। অঙ্কন ৩৩ রান করেছেন ৩৯ বল খেলে। মাহমুদুলের ১৩৫ বলের ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ৩ ছয়।
উলভসের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মার্ক অ্যাডাইর। দুটি করে পান রুহান প্রিটোরিয়াস ও হ্যারি টেক্টর।
লক্ষ্যে নামা আইরিশদের ৭ রানে জেরেমি ললারকে (০) ফিরিয়ে দেন শফিকুল ইসলাম। এই ধাক্কা অবশ্য অ্যাডাইর ও স্টিফেন ডোহেনির জুটিতে কাটিয়ে ওঠে সফরকারীরা। ৯৭ রানের জুটি গড়েন তারা। অ্যাডাইর ৪৫ রানে ফেরার পর ডোহেনি একা হাতে লড়াই করেছেন। ৯৯ বলে ৮১ রানে তিনি বিদায় নেন।
দল অবশ্য তখনও লক্ষ্য থেকে প্রায় একশ রান দূরে। সাইফ হাসান মিডল অর্ডালে ভাঙন ধরালেও নেইল রক আইরিশদের জয়ের স্বপ্ন জাগান। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে তাকে শফিকুল ফেরালেও শেষ জুটিতে বেন হোয়াইট ও পিটার চেজ দাঁড়িয়ে যান। তাদের ১০ বলে ১৪ রানে শেষ ওভারে সফরকারীদের লক্ষ্য ১১ তে নামে।
রেজাউর রহমানের বুদ্ধিদ্বীপ্ত বোলিংয়ে ৫ রানের বেশি নিতে পারেনি দশম উইকেটের এই জুটি। হোয়াইট ৬ ও চেজ ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশের পক্ষে অধিনায়ক সাইফ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দুটি করে পান শফিকুল ও তানভির ইসলাম।বৈশাখী নিউজ/ বিসি