সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে দর্শনীয় করে তুলতেই প্রকল্প: সেতুমন্ত্রী

সময়: 2:51 pm - May 8, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 2 বার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সারেন্ডার করার জায়গা দর্শনীয় করে তোলার জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিহবন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, যে কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছিল সেই কাজগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ইতিহাসের কথা জানতে পারবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিং করেন। এ সময় তিনি এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, রেসকোর্স ময়দানে প্রথম গাছ লাগিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটিকে উদ্যান হিসেবে বঙ্গবন্ধুই সৃষ্টি করেছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের স্থান ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সারেন্ডার করার স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি হয়ে এই উদ্যানের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে শিশুপার্ক করেছিল। পরিবেশবাদীরা তখন প্রশ্ন তোলেননি কেন? কারও মুখে একটা কথাও সেদিন আমরা শুনতে পাইনি।

তিনি বলেন, সৌন্দর্য বর্ধনের নামে এই ঢাকা শহরে রাস্তার পাশ থেকে কত সুন্দর সুন্দর গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল, উজাড় করে ফেলা হয়েছিল এই নগরীর সৌন্দর্য।

ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।

এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

এ সময় মন্ত্রী জানান, ঈদ সামনে রেখে পরিবহন ও যাত্রীদের চাপ থাকায় ঢাকার প্রবেশমুখগুলোয় চাপ বেড়ে যায়, তাই ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি সমন্বয় করে জনভোগান্তি লাঘবে পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিআরটিসিকে লাভের ধারায় ফিরে আসতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বারবার লোকসানের কথা আর শুনতে চাই না।

তিনি বিআরটিসির কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।

ওবায়দুল কাদের গত কয়দিনে ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় প্রসঙ্গে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে, শপিংমল মার্কেটগুলোতেও একই অবস্থা। এ ধরনের পরিস্থিতি গত কয়দিনে করোনা সংক্রমণ হারের যে নিম্নমুখী প্রবণতা সেটাকে আবারও বাড়িয়ে দিতে পারে।

তিনি আবারও স্মরণ করে দিয়ে বলেন, আগে জীবন পরে জীবিকা, এই মূহুর্তে বেঁচে থাকাটাই জরুরি। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক আনন্দ উৎসব করা যাবে, কাজেই এবার অন্তত সবাই মিলে ত্যাগ স্বীকার করি।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর